শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥ চাঁদপুরে ৯৪ নং পূর্ব জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দনা কর্মকারের হস্তক্ষেপে ৪র্থ শ্রেনির ছাত্রী শারমিন আক্তার আখি(১০)বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল।
বাল্য বিয়ের ঘটনাটি প্রথমে সদর নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দনা কর্মকারকে পাঠায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে নিয়ে স্কুল ছাত্রীর বাসায় গিয়ে তার মা ও বাবা সহ প্রতিবেশীদের বুঝিয়ে এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়।
জানা যায়, পূর্ব জাফরাবাদ ঢালী বাড়ির ভাড়াটিয়া সিএনজি চালক আলতাব হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তার আখি ৯৪ নং পূর্ব জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর পড়ালেখা করে। সেই বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া সফিনা বেগমের চোখ পরে স্কুল ছাত্রী শারমিন আক্তার আখি উপর। সফিনা বেগম তার দেবর ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের শহীদ শেখের ছেলে রিয়াদ শেখ(২৭)এর সাথে স্কুল ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্থাব দেয়। তার কথা মত হতদরীদ্র বাবা ও মা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে। বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রী শারমিন আক্তার আখি স্কুলে পরিক্ষা দিতে গেলে বিয়ের ঘটনাটি তার সহপাঠিদের জানায়। এই খবর জানা জানি হলে বিষয়টি চাঁদপুর সদর নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা জানানো হয়। পরে তার কথা মত প্রধান শিক্ষক চন্দনা কর্মকার সেই বাড়িতে গিয়ে ৪র্থ শ্রেনির ছাত্রী শারমিন আক্তার আখি(১০)বাল্যবিয়ে বন্ধ করে। এই ঘটনায় মেয়ের মা জানায়, আমার হত দরিদ্র, সিএনজি চালিয়ে আমার স্বামী টাকা উপার্যন করে আমাদের কোন রকম সংসার চালাই। এই বাড়ির ভাড়াটিয়া মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমরা প্রথমে রাজি হলেও পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদের বাল্য বিয়ে সম্পর্কে বুঝালে আমদের ভুল বুঝতে পারি। পরে মেয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবো না বলে তাদের সাথে অঙ্গীকার করি।
শিরোনাম:
শনিবার , ১২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।