নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চাঁদপুরে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারের কার্ড রিচার্জ করতে গ্রাহকদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। যে কোন মোবাইলের লোডের দোকানে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারের কার্ড রিচার্জ সহজলভ্য হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন মিলছেনা। কারন হিসেবে মোবাইলের লোডের দোকানিরা বলছে গত ৩-৪ দিন যাবত সার্ভার ডাউন। এতে করে তারা গত ৪ দিন ধরে কাউকেই প্রি-পেইড মিটারের কার্ড রিচার্জ করাতে পারছেনা। এদিকে যাদের মিটারের কার্ড শেষ হয়েছে তারা মিটারের কার্ড রিচার্জ করার জন্য নতুন বাজার বিদ্যুৎ অফিসে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড রিচার্জ করতে হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কম্পিউটার ইনচার্জ সিয়াম বিভিন্ন গ্রাহকদের সাথে প্রতিনিয়ত রূঢ় আচরন করে আসছে বলে একাধিক গ্রহাকরা জানান। তার এ অশুভ আচরন থেকে ষাটর্ধো বৃদ্ধ ও মহিলারাও রেহাই পায়নি। সিয়ামের অশুভ আচরনের বিষয়টি চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম. ইকবাল হোসেনকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি দুঃখ্য জনক বলে জানান এবং তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে অবহিত করেন। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ শ্রমীকলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমকে জানালে তারাও জানান, এ সিয়াম সম্পর্কে বহু গ্রহাক আমাদের কাছে এর পূর্বেও বেশ কয়েকটি অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
গতকাল সরজমিনে চাঁদপুর বিদ্যুত অফিসে গিয়ে দেখা যায়, এক বৃদ্ধ ও কয়েকজন মহিলা বিকেলে কার্ড রিচার্জের জন্য তাদের কাছে গেলে তারা কার্ড রিচার্জ করতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেয়। কারন তারা নির্ধারিত সময়ের পরে কেন এসেছে, জবাবে বৃদ্ধ লোকটি জানান, আমি তোমার বাবার মতো বহু কষ্ট করে এসেছি। ভেবেছিলাম দোকন থেকে রিচার্জ করে নিবো। কিন্তু গিয়ে দেখি দোকানে রিচার্জ হয়নি তাই বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি। অনেক বিনয়ের সাথে বলার পরেও তাদেরকে সে রিচার্জ করে দেয়নি। পরবর্তিতে বিদ্যুৎ অফিসের স্টাফরা গিয়ে অনুরোধ করলে তা করে দেয়। সাধারণ গ্রহকদের দাবী এ স্থান থেকে সিয়ামের মতো এ ধরনের বদ মেজাজি স্টাফদের সরিয়ে না দিলে যে কোন সময় গ্রাহকদের সাথে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।