শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥ ঢাকা-চাঁদপুর, চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জ, মতলব-নারানগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ-কাঠপট্টি নৌ-রুটে ঈদ উপলক্ষে অধিকাংশ লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে। এছাড়া এ রুটে চলাচলকারী বহু লঞ্চকে নৌ-অধিদপ্তর ত্রুটিপূর্ণ বলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করে দেয়। সেসব লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে যাত্রী পাড়াপাড়ের জন্য তরিগড়ি করে মেরামত ও রং করে যাতায়াতের মাধ্যমে যাত্রী পাড়াপাড় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ রুটে চলাচলকারী এম.ভি মিরাজ১-২, এম.ভি রিফাত-১, এম.ভি সম্পা, এম.ভি মহারাজসহ চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জে যাতায়াতকারী ছোট লঞ্চ ও মতলব-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী অধিকাংশ লঞ্চই ত্রুটিপূর্ণ বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান। এ অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে যেকোনো মুহুর্তে বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বিরাজ করছে। নৌ-টার্মিনালে যাত্রীর সাথে আলাপকালে তারা জানায়, লঞ্চগুলোতে পূর্বের ভাড়ার চাইতে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে লঞ্চের টিটেক মাস্টার।
চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জ ও মতলব-ঢাকার মধ্যে যাতায়াতকারী লঞ্চগুলোর দূর্ঘটনার প্রধান কারণ ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-যান, অতিরিক্ত যাতী বহনের কথা উল্লেখ করেন, সমুদ্র পরিবহনের ওই কর্মকর্তা। ঈদকে সামনে রেখে ত্রুটিপূর্ণ নৌ-যানগুলি নামকাওয়াস্তে মেরামত ও রং করে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এসব লঞ্চগুলো ঈদে যাত্রী পাড়াপাড় করে অধিক অর্থ উপার্যনের জন্য যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার দিকে না দেখে যাত্রী পাড়াপাড়ের কাজে নিয়যিত রয়েছে। এ ফিটনেস বিহীন লঞ্চ যাতায়াতের ক্ষেত্রে নৌ সংস্থার পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ঈদকে সামনে রেখে ছোট ছোট নৌযান থেকে শুরু করে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যাত্রী পাড়াপাড়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের নেই কোনো পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নৌযান চালানো মতো। তবুও তারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব নৌ-যানের যাত্রীদের জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম নেই। (লাইভ সের্ভিং ইকুবমেন্ট। তবুও ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে চলাচল করছে। অপরদিকে দেখা যায় অধিকাংশ লঞ্চই রাতের বেলায় আলো বিহীনভাবে নৌ জাহাজ চলাচল করে যাচ্ছে এ রুটে। এতে করে বড় ধরনের দূর্ঘটনার দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বিরাজও মান রয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে চাঁদপুর-বরিশাল কালাইয়ার মধ্যে চলাচল কারী যাত্রী লঞ্চ এম.ভি আল-ওয়ালিদ সহস্রাধীক যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করার প্রাক্কালে, রাত ১২ টায় লঞ্চটিতে জেনারেটর না থাকায় যাত্রী নামিয়ে লঞ্চটি যাত্রা বাতিল করেন চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পরিবহন পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান চাঁদপুর বলেন, জনবলের সংকটের কারণে বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ণ (ফিটনেস বিহীন) যানবাহন ঠিকমতন পরিদর্শন করা যাচ্ছে না। যার ফলে এ রুটে ফিটনেস বিহীন ছোট বড় নৌ-যান যাতায়াতে নিয়োযিত রয়েছে।
চাঁদপুর নৌ বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীতে চলাচলের জন্য জাহাজের ফিটনেসের বেপারটি ডিজিশিপিংয়ের দায়িত্ব। আমাদের চাঁদপুর নৌ বন্দরের দেখার দায়িত্ব হচ্ছে, যাত্রী পাড়াপাড় এর কাজে নিয়োজিত রুট পারমিট দেওয়া ও বাতিল করা।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।