রফিকুল ইসলাম বাবু:
চাঁদপুরের বাগাদী এলাকায় বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফি কম দেয়ায় শিক্ষকের শাস্তির অপমান সইতে না পেরে সাথী আক্তার নামে অষ্টম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আজ দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মধ্য বাগাদী গ্রামের শেখ বাড়ীতে ওই শিক্ষার্থী নিজবসত ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আতœহত্যা কার। এদিকে শিক্ষার্থী আতœহত্যার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাগাদী গনি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাংচুর চালায় । সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই স্কুলের সকল শিক্ষক দ্রুত গা ঢাকা দিয়েছে । রিকশা চালক দেলোয়ার হোসেন শেখের দ্বিতীয় মেয়ে সাথী বাগাদী গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ‘খ’ শাখার ছাত্রী ছিল। বাড়ীর বাসিন্দা,সাথীর সহপাঠি ও এলাকাবাসী জানান, পরীক্ষার ধার্য্যকৃত ফির মধ্যে মাত্র ৩০ টাকা কম দেয়ায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন তাকে রোদের মধ্যে ১ ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখে এবং অশ্লিল ভাষায় গাল-মন্দ করে । এতে সাথী অপমানিত হয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসে । সাথীর মা শায়লা বেগম জানান, তিনি পরীক্ষার বাকী ফি জোগাড় করতে বাড়ীর অন্য মানুষের কাছে যায়। এরই ফাঁকে সাথী গরাল ফাঁস দিলে তার ছোট মেয়ে তা দেখতে পায়। পরে তিনি নিজেই সাথীকে ফাঁস থেকে নামিয়ে নীচে রাখে। ততক্ষন সাথী আর জীবিত ছিলো না। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দায়ি ব্যক্তিদের শাস্তি দাবী করেছেন ।