মিজানুর লিটন=
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এক দফার আন্দোলন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারছে না চাঁদপুরের অধিকাংশ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতা-কর্মীরা। গ্রেফতারের ভয়ে তারা পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন। সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলায় হার্ডলাইনে থাকায় চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে যাতে অংশ নিতে না পারে প্রশাসন অনেক ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকে ধরতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিরোধী দলের টানা ৪ দিনের হরতাল শুরুর আগ থেকে এ যাবৎ পুলিশ চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। চাঁদপুর পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিস বেপারীর বাড়িতে তাকে ধরার জন্য গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালায়। হরতালের ১ম দিন জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আসলাম তালুকদারকে হোটেলে নাসত্দা খাওয়া অবস্থায় আটক করে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পালের বাজার এলাকা থেকে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেকুল বেপারীসহ যুবদলের ৪ কর্মীকে আটক করে পুলিশ। হরতালের ২য় দিন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৪জনকে ১৫ দিনের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই দিন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) ইব্রাহিম কাজী জুয়েলকেও পিকেটিং চলাকালে রাজপথ থেকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এভাবে সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন বিএনপিসহ অন্যান্য ইউনিয়ন বিএনপি এবং চাঁদপুর পৌর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়ি ঘর ছাড়া। এছাড়া অনেক নেতা-কর্মীই পালিয়ে পালিয়ে হরতাল কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।