অভিজিত রায় ॥
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের টানা অবরোধের ১০ম দিনে সকাল-সন্ধ্যা হরতালে চাঁদপুরের জনজীবনে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকেই শহরের ভারী যানবাহন ছাড়া সিএনজি, অটো রিস্কা, রিস্কা ও মটোর সাইকেল চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা। সকল বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাশ হলেও আতংকের কারনে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের চাইতে কিছুটা কম। শহরে সকল প্রকার ছোট যানবাহন চলাচল করায় অফিসগামীদের তেমন বিপাকে পড়তে হয়নি। জেলার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দূর পাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি, লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক। টানা অবরোধের কারনে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। গত ৫ জানুয়ারী অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ডেমো ট্রেনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকাল, সাগরিকা ও মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করলেও নির্ধারিত সময়ের চাইতে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা দেরিতে চলাচল করছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে চট্রগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষèীপুর, ব্রাহ্মবাড়িয়া কুমিল্লা ও লাকসাম গামী সাধারণ যাত্রীরা।
অন্যদিকে সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সকাল ৯টায় জেলা বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহীম কাজী জুয়েলের নেতেৃত্বে শহরের ষোলঘর এলাকায় একটি মিছিল বের হয়। এছাড়া জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কিছু নেতাকর্মী স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থান করে এদের মধ্যে মহিলাদলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়। শহরের ক্লাব রোড ও কুমিল্লা রোড এলাকায় হরতাল সমর্থকরা কয়েকটি অটোরিস্কার গ্লাস ভাংচুর করে। এসকল ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। হরতালের যে কোন নাশকতা এড়াতে শহরে প্রতিনিয়ত পুলিশের গাড়ী গুলোকে টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়াও শহরের গুরুত্বপূণ্য মোড় বড় মার্কেল এলাকায় পুলিশের অবস্থান ছিল।