স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুরে বিয়ের প্রলোভনে বাসার কাজের মেয়ে যুবতিকে একাধিকবার ধর্ষনের পর দেশ ছেড়ে গোপনে বিদেশে পালিয়ে গেছে এক লম্পট। চাঁদপুর থেকে পালিয়ে গিয়ে ঢাকা মিরপুর ১ নাম্বার টোলারবাগ বোনের বাসায় কয়েক দিন আত্বগোপনে থাকার পর রবিবার রাতে কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে দেশ ত্যাগ করে। ঘটনার বিবরনে জানা যায় পুরানবাজার পশ্চিম জাফরাবাদ মৃত আরজ খানের বাড়ির মিজানুররহমান নান্নুর ছেলে নেশাখোর বখাটে সজিব খান মিরপুর ১ নাম্বার এলাকার টোলারবাগের বাসিন্দা তার বড় বোন পপি বেগমের কাজের মেয়ে সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে। সজিব বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনে কাজের মেয়ে যুবতিকে পালাক্রমে বেশ কয়েকবার ধর্ষন করে। এ ঘটনা জানতে পেরে তার বড় বোন পপি ও বোনের জামাই জাকির হোসেন লিটন কাজের মেয়েকে ২২ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের করে দেয়। গত বুধবার বিকেলে লম্পট সজিব বিয়ের কথা বলে সে কাজের মেয়েকে বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ কলেজের পূর্ব দিকে মিজি বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলে ওঠিয়ে চাঁদপুর নিয়ে আসে। সজিব সে মেয়েকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে আবারো বেশ কয়েকবার ধর্ষন করে ঘুড়ার নাম করে আলাআমিন একাডেমির পিছনে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে জঙ্গলে নিয়ে জনসম্মুখে শীলতাহানীর চেষ্টা করে। এসময় নৌকার মাঝি ও স্থানীয় যুবকরা দেখতে পেয়ে হাতে নাতে সজিবকে কাজের মেয়ে সহ আটক করে। এ সময় কাজের মেয়ে যুবতি জানায় তাকে বিয়ের কথা বলে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। সজিবের সাথে সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তার বোন পপি বেগম মাসিক বেতন না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। স্থানীয় যুবকরা সজিবকে আটকে করে উত্তম মধ্যম দিয়ে তার পরিবারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তার বাবা মিজানুর রহমান নান্নু ছেলের সাথে কাজের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অঙ্গিকার করে স্থানীয় যুবকদের টাকা দিয়ে কাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। বুধবার রাতেই সজিবকে তার বোনের বাড়ি ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। এদিকে সজিব এর পূর্বে তার এক বন্ধুর শালী হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগীর ছৈয়াল মোড় আবুল হোসেন মাঝির ছোট মেয়ে নাজমাকে ২০১৪ সালের অক্টোবরের ৩১ তারীখে বিয়ে করে। সে মেয়েকে তালাক দিয়ে কাজের মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে । সে ঘটনা জানতে পেরে তার বাবা মিজানুর রহমান নান্নু ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার সকল কার্যক্রম শেষ করে। অবশেষে বুধবার স্থানীয় যুবকরা তাকে হাতে নাতে আটক করার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে তড়িগড়ি করে কাতার পাঠিয়ে দেয়।