শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুরে বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে রাতের আধাঁরে শীলতাহানী করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১২ নং চাঁন্দ্রা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছৈয়াল রাড়ির অলিউল্লা ছৈয়ালের বখাটে ছেলে রুবেল(২৩) স্কুল ছাত্রীকে শীলতাহানীর চেষ্টা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত ১ টায় চাঁন্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিন বালিয়া ৯নং ওয়ার্ড ছৈয়াল বাড়ির পিছনে গভীর জঙ্গলে।
শনিবার বিকেলে পুলিশ সুপারের নির্দেশ্যে মডেল থানার এসআই বিপ্লব লম্পট রুবেলকে তার বোনের জামাই খাশের বাড়ির হারুন ছৈয়ালের বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
স্কুল ছাত্রীর মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষন করে জঙ্গলে ফেলে রেখে রুবেল পালিয়ে যাওয়ার পরে তার পরিবারের স্বজনরা তাকে খুজাখুজি করতে শুরু করে। পরে তারা অজ্ঞান ও বাকরুদ্ধ অবস্থায় জঙ্গল থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাস্তায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে বখাটে রুবেলের মামা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতা মেয়েকে নিয়ে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে না নিয়ে পাইভেট নাবানা হাসপাতালে ৩১১ নাম্বার কেবিনে ভর্তি করায়।
খবর পেয়ে সাংবাদিকরা নাবানা হাসপাতালে যাওয়ার পরেই হাসপাতাল কর্তিপক্ষ তরিগরি করে রুগিকে সরকারী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে।
পরে স্কুল ছাত্রীর ভাই সিএনজি চালক মাকসুদ ও তার পরিবারের লোকজনরা নাবানা হাসপাতালে গিয়ে তাকে নিয়ে সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
সাংবাদিদের উপস্থিতি টের পেয়ে রুবেলের মামা ও পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
স্কুল ছাত্রীর ভাই মাসুদ জানায়, বাবা কয়েক বছর পূর্বে মারা যাবার পরে সিএনজি চালিয়ে টাকা উপার্জন করে একমাত্র আদরের ছোট বোনকে স্কুলে পড়ালেখা করাই। আমার পাশের বাড়ির ছেলে মাকসুদ আমার বোনকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্তক্ত করতো। তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে ও আমাদেও বাড়িতে প্রস্তাব পাঠায়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘটনারদিন রাত ১০ টায় আমার মা ঘর থেকে বাহিরে গেলে লম্পট রুবেল তার বোনের জামাই খাশের বাড়ির হারুন ছৈয়াল সহযোগীতায় ঘরে ডুকে জোর করে মুখে গামছা বেধেঁ জঙ্গলে নিয়ে আটকে রেখে শীলতাহানীর চেষ্টা। পরে রাত ১টায় গভীর জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ধর্ষনকারীর মামা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ব্যাপারে গায়নী বিভাগের ডাঃ ফাতেমা বেগম জানায়, ধর্ষনের আলামত পাওয়া যায়নি। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর সব ধর্ষন হয়েছে কিনা তা বলা যাবে।
এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মডেল থানা পুলিশ ঘটনা তদন্তের জন্য হাসপাতালে এসে খোজ খবর নেয়। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই বিপ্লব লম্পট রুবেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এই ঘটনায় আসামী রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দয়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।