শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক।। চাঁদপুরে বোরকা মুখুশ পরে ঘরে ডুকে কিশোরীকে ধর্ষন করে হাত পা বেঁধে ডাকাতি করার ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ধর্ষন শেষে হামলায় চালিয়ে জাকিয়া বেগম(৪০) ও তার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী গুরুত্তর আহত করেছে ।
ডাকাতদের ধর্ষনের শিকার সুমিয়া বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গাইনী বিভাগে ভর্তি আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোর ৪টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা ১২ নং চাঁন্দ্রা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মধ্য মদনা গ্রামের আহসান খাঁনের বাড়িতে।
ঘটনার পরেই খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মাবাবুবুর রহমান এসআই হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও হাসপাতালে গিয়ে কিশোরির খবর নেয়।
জানা যায়, ঘটনার রাতে আহসান খাঁনের বাড়িতে ৪ জন ডাকাত বোরকা ও মুখুশ পরে ঘরে ডুকে তার স্ত্রী জাকিয়া ও মেয়েকে হাত পা বেঁধে এক রুমে ফেলে রাখে। ডাকাতরা তাদের ঘর তছনছ করে নগদ টাকা ও স্বর্নঅলংকার নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতরা মাকে এক রুমে ডুকিয়ে আরেক রুমে কিশোরিকে ধর্ষন করে। মেয়েকে ধর্ষনের ঘটনা বুঝতে পেরে জাকিয়া বেগম ডাক চিৎকার দিলে ডাকাতরা মা ও মেয়েকে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুত্তর আহত করে। তাদের ডাকচিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
ধর্ষনের শিকার কিশোরি ফরিদগঞ্জ হাঁসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনির পড়ুয়া ছাত্রী।এই ঘটনায় প্রতিবেশী হাকিম খাঁনের ছেলে কামাল খাঁন জানায়, খাঁন বাড়ির আহসান খাঁন ঢাকা কারওয়ান বাজার কাঁচামালের ব্যাবসা করে।
এই বাড়িতে আহসানের স্ত্রী ও মেয়ে একা থাকে। সেই সুযোগে ডাকতরা ঘরে ডুকে হাত পা বেঁধে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার মানুষ ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এই এলাকায় এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে।এই ডাকাতির ঘটনায় মডেল থানায় ধর্ষিতার বাবা আহসান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আর এম ও এ এইচ এম সুজাউদ্দোলা রুবেল জানায়, কিশোরীকে ধর্ষন করেছে এমন সিমটম পাওয়া গেছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার পরে পুরো বিষয় বলা সম্ভব হবে। তবে কিশোরীর মার কথায় বুঝা গেছে সে ধর্ষন হয়েছে। কিশোরী ভয় পাওয়ায় সে সবকিছু খুলে বলতে পারেনি।
এদিকে মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানায়, কিশোরিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এলোমেলো তথ্য দেয়। তবে ধর্ষনের বিষয়টা স্পষ্ট নয়। মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার পর সব কিছু বলা সম্ভব হবে।