চাঁদপুর প্রতিনিধি : জেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সেচের কারণে ৩৬৭ হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে সেচ প্রকল্পগুলোর অধিকাংশ এলাকায় ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে বেড়িবাঁধের বাইরের অংশে এখনও চলছে ধান কাটার কাজ।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। পুরো জেলায় এ বছর বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ২৫১ হেক্টর জমিতে। অর্জন হয়েছে ৬৩ হাজার ৮৮৫ হেক্টর। তবে কয়েকটি উপজেলায় সেচের অভাবে ভুট্টা ও সয়াবিন চাষের জন্য ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
হাইমচর এলাকার কৃষক আবদুল করিম জানান, হাইমচর উপজেলা নদী ভাঙনে আয়তনে ছোট হয়েছে। তবে চলতি বছর এ এলাকায় বোরো মৌসুমে বেশির ভাগ জমিতে সয়াবিন চাষ করা হয়েছে। কারণ কম খরচে লাভজনক বিধায় সয়াবিন চাষে আগ্রহী কৃষকরা।
জেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি বছর সদর উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৭৮০ হেক্টর। অর্জন হয়েছে ৬ হাজার ৫ হেক্টর, মতলব উত্তরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ২২০ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৯ হাজার ২৫০ হেক্টর, মতলব দক্ষিণে লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৩০৩ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৫ হেক্টর, হাজীগঞ্জ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৩৫৮ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ১০ হাজার ২৬০ হেক্টর, শাহরাস্তিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৩৩৬ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৯ হাজার ৩৪৫ হেক্টর, কচুয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ১২ হাজার ১১০ হেক্টর, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৯০ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ১০ হাজার ৮০ হেক্টর, হাইমচর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২৬ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৮৮০ হেক্টর।
সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের কৃষক মো. খালেদ মুন্সী জানান, চলতি বছর তিনি ২ হেক্টর জমিতে বিআর ২৮-২৯ জাতের ধানের চাষ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় তার ধান ভালো হয়েছে। তবে বৃষ্টির পানি পেলে আরও ভালো ফলন পাওয়া যেত।
সদর উপজেলার সাহেববাজার মমিনপুর এলাকার চাষি মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী জানান, চলতি বছর এক একর জমিতে তিনি বোরো ধানের চাষ করেছেন। জমিগুলো ডাকাতিয়া নদীর পাড়ঘেঁষে হওয়ায় ও উর্বর মাটি থাকায় বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন। বিগত ৫-৬ বছরেও ধানের এত ভালো ফলন হয়নি।
চাঁদপুর কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ফয়েজ উদ্দিন দ্য রিপোর্টকে জানান, এ বছর বোরো আবাদ সন্তোষজনক। উপজেলাগুলোর তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা চাষ কম হলেও ফলন অত্যধিক ভালো। মতলব উত্তর মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা পরে সেচের পানি পাওয়ার কারণে অনেকেই ধানের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করেছেন।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।