মিজান লিটন ॥
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন সাহেবগঞ্জ এলাকায় ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ভাগিনা আবদুল্লাহসহ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মামা মোহাম্মদ হোসেন (৬০) এর উপর টেটা-রামদা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মামাকে কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মামা মো: হোসেনকে ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে চিক্যিসকরা তাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রেরন করলে জরুরী বিভাগের চিক্যিসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহতের বাম হাতের কব্জিটুকু বিচ্ছিন্ন ও পিটদিয়ে বিদ্ধ টেটাটি বুক দিয়ে বের হয়ে আছে। যে কেউ দেখলে গাঁ শিউরে উঠে তাঁর।
নিহতের বোন আনোয়ারা বেগম ও ছেলে সাইফুল ইসলাম অভিযোগে জানায়, কয়েকদিন পূর্বে ভাগিনা আবদুল্লাহকে মদপান ও মাতলামির অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি থাপ্পর দিয়েছিল মামা। এরই জের ধরে মামাকে কুপিয়েছে ভাগিনা তার বাহিনী নিয়ে। হাসপাতালে আনার পথে গুরুতর অবস্থায় মো: হোসেন তার বোন আনোয়ার বেগম এর(৬৫) কাছে বলেছে, তাকে ভাগিনা আবদুল্লাহ পিতা-আহম্মদউল্যাহ সহ মিজান ও আমির পিতা-দুলা মিয়া, সানাউল্যাহ পিতা-সফু মৃধা, রবিউল পিতা-আক্কাছ, নেয়ামত পিতা-সানাউল্যাহ, রুবেল পিতা সফিউল্যাহ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
কয়েকদিন পূর্বে এরাই মামার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তবুও মামা টু শব্দটি করেনি। প্রায় বছর খানেক পূর্বে একবার এই ভাগিনার বিরুদ্ধে মামাকে আহত করার প্রেক্ষিতে মামলার কোন কুল কিনারা না হওয়াকেই দায়ী করছেন তারা। এমনকি ফরিদগঞ্জ থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অলক বড়–য়া দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করাটাও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাতিজী শাহানাজ বেগম বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।