স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার যমুনা হসপিটালে অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপ অবস্থায় অপারেশন করায় প্রসূতি ফাতেমা আক্তার লুবনা (২২) এর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৯ জুন) বিকাল ৪টার দিকে ওই প্রসূতিকে চাঁদপুর থেকে কুমিল্লা হসপিটালে নেয়ার পথে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাতেমা আক্তার সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ওমান প্রবাসী নাছির উদ্দিন গাজীর স্ত্রী এবং পাশ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন খানের কন্যা।
নিহতের পিতা দেলেয়ার হোসেন খান ও ফাতেমার ফুফু লুতুফা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ফাতেমার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে উল্লেখিত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে নরমাল ডেলিভারি রোগী হিসেবে ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকের সাথে পরমার্শ করে সিজারিয়ান করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সিজারের পূর্বে তার উচ্চ রক্তচাপ ছিলো।
সকাল ১১টায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক ফাতেমা বেগম ও এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ডাঃ ইলিয়াছ সিজারিয়ান করেন। এতে ওই প্রসূতি একটি কন্যা শিশু জন্ম দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে লুবনার জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা রেফার করলে পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তাকে আবার যমুনা হসপিটালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর জানান, লুবনার সিজারের সিদ্ধান্ত চিকিৎসকরাই নিয়েছেন। তারাই কুমিল্লা হসপিটালে রেফার করেছেন। কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা চিকিৎসকরাই ভাল জানেন।
এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ইলিয়াছ বাংলানিউজকে বলেন, প্রসূতী লুবনার সিজারিয়ানের পূর্বে রক্তচাপ ৯০/১৪০ ছিলো। অপারেশন শেষে অক্সিসেজন দেয়া হলে ৯০ তে নেমে আসে। পরবর্তীতে তার হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়ার কারণে কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের পক্ষে কোন ধরনের অভিযোগ করা হয়নি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পাওয়াগেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।