শরীফুল ইসলাম ॥
জীবনে বাঁচানোর জন্যই ওষুধ তৈরী করা , আর এই ওষুধের জন্যই মানুষ ছুটে যায় ফার্মেসী ব্যবসায়ীদের কাছে। অথচ গুটিকয়েক অসাধু ব্যাবসায়ী সাধারণ মানুষের অজ্ঞাত আর অবহেলার সুযোগ নিয়ে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। আবার তাদের রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ, এমনকি প্রশাসনও। কারণ ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে প্রশাসনের প থেকে অভিযানের উদ্যোগ নিলেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা কয়েক দিনের জন্য দোকান না খোলার হুমকি দিয়ে থাকে। আর তখনোই ফার্মেসী বন্ধ থাকার কারনে, রোগীরা পড়ে যায় জীবন মৃত্যুর ঝুঁকিতে অথচ এসব অসাধু ব্যবসায়ীর ভেজাল ওষুধের কারণে কত মানুষ যে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে তার কোনো হিসেব নেই। কিছু টাকার জন্য মানুষের মাজে বিলিয়ে দেয় ভেজার ঔষধ,যার কারনেই মৃত্যুর দিকে ঝুকে পড়ছে সাধারন মানুষের প্রান। সরজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুরে ঔষুধের দোকন গুলোতেও অবাধে চলছে মেয়াদ উত্তেীর্ন রেজিস্ট্রেশন-বিহীন দেশি-বিদেশি ওষুধের রমরমা ব্যবসা। পাইকারী আর খুচরা প্রায় সব দোকানেই মিলেছে নিুমানের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। ভেজালবিরোধী অভিযানে চললেও থেমে নেই অবৈধভাবে আমদানি করা বিদেশী ওষুধ কিংবা রেজিষ্ট্রেশনবিহীন দেশি ওষুধ কোম্পানির লাগামহীন ব্যবসা। চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ি এলাকায় রয়েছে অর্ধ শতাধিক ওষুধের দোকান। এসব দোকানের প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। পাশাপাশি রয়েছে নিুমান ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের গুদাম। অনেক অশাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা ভেঝাল অভিজানের সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের কার্টুন সরিয়ে রাখে। আর এসব ওষুধ বিক্রির জন্য আছে প্রায় পঞ্চাশ জনের একটি সিন্ডিকেট দল। কয়েকজনের দায়িত্ব থাকে প্রশাসনের সঙ্গে রফাদফা করে অভিযানে চলাকালে ভেঝাল ঔষধ বিক্রি চালিয়ে নেয়া। প্রশাসনের ভিতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ভেজাল ওষুধের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই পাচাঁর করে দেয় অভিযানের খবর। ফলে হঠাৎ করেই দেখা যায় প্রায় সব দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা চলে যান অন্য কোথাও। বিপাকে পড়েন সাধারন মানুষ। তবে এ ধরনের অভিযানের পইে কথা বলেন এখানকার ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। গত শনিবারের অভিযানেও দেখা যায় একই চিত্র। ম্যাজিষ্ট্রেট আসার আগেই অধিকাংশে দোকান বন্ধ। পালিয়ে যায় ভেজাল ওষুধ ব্যবসায়ীরা। এরপরও দিনভর অভিযান শেষে খোজ মিলে সামন্য কিছু মেয়াদোত্তীর্ন ও ভেজাল ওষুধের। রেজিষ্ট্রিশনবিহীন বিদেশী ওষুধ রাখার দায়ে বেশ কয়েকটি দোকান মালিককে জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসন ও ওষুধ প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ৮ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া জেরিন। শুধু সাজা দিয়েই এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ করা যাবে না বলে মনে করেন মোবাইল কোর্টের ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া জেরিন । এসব অসাধু ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফার্মেসী থেকে কেনার সময় সাধারন মানুষকে অবশ্যই স্বজাগ থাকতে হবে ভেঝাল ঔষধ কেনার থেকে। জনগনের মধ্যে সচেতনতা আসলে অনেকটাই কমে জাবে ভেঝাল ঔষধ বিক্রি।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।