স্টাফ রিপোর্টার:॥ চাঁদপুরে মদের বোতল নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে সহ ৩ যুবককে আটক করেছে ট্রাফিক সারজেন্ট আলম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ সুপার শামসুরন্নাহার। পুলিশ সুপারের নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানায় এসআই নিজামউদ্দিন বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করেন। মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের পুলিশ আদালতে প্রেরন করলে আদালত অতপরঃ তাদেরকে জেলাকারাগারে পাঠিয়ে দেন। জানা যায়, চাঁদপুর নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সুদর্শন কুড়ি পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেল নিয়ে তার ছেলে রানা ও দুই বন্ধুসহ সোমবার রাত ১১ টায় মদ কিনতে পুরানবাজার যায়। তারা পুরানবাজার সিকদার কাউন্টার থেকে এ্কটি বিদেশি মদের বোতল নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে শহরের শিল্পকলার সামনে ট্রাফিক সারজেন্ট আলম তাদের পথ গতিরোধ করে। এসময় তাদের দেহ তল্লাশী করে একটি মদের বোতল ও পুলিশের মোটরসাইকেল সহ রানা(২৮),পলাশ(২৮),সঞ্জয়(২৬)কে আটক করে। ঘটনাটি সাথে সাথে পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে থানায় পাঠিয়ে দেন। চাঁদপুরের এক এমপির পিওন মানিক নিজেকে পিএস পরিচয় দিয়ে আটককৃতদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায় যায়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করে আদালতে প্রেরন করেন।
উল্লেখ্য,নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এ টি এস আই সুদর্শন কুড়ির শ্বশুর বাড়ি চাঁদপুরে হওয়ায় তার ছেলেরা ও দুই শ্বশুর বাড়ির লোকজন শহরে মানুষের সাথে অসাধু আচরনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।এ ছাড়া নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এ টি এস আই সুদর্শন কুড়ি তার ইচছা মত সাধারন মানুষকে ধরের ও ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা তদন্ত পূর্বক যাচাই করলে সত্যতা মিলবে বলে সচেতন অনেকের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনইচছুক এক ব্যক্তি জানান, নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এ টি এস আই সুদর্শন কুড়ি নিজের এলাকা শহর বাদ দিয়ে নদীতেও অভিযান করে থাকেন। অভিযান কালে কাউকে আটক করে সমজোতা হয়ে গেলে ছেড়ে দেন। আর সমজোতা না হলে আটক ব্যক্তিকে মডেল থানায় পাঠিয়ে দেন।