চাঁদপুর: যোগাযোগমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও জেলার কোথায়ও হাইওয়ে সড়কের পাশের কোনো স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি। বর্তমানে হাইওয়ে সড়কের পাশে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ব্যবসা করছে এবং ভাড়া দিচ্ছে। যোগাযোগমন্ত্রী ঈদের আগেই সড়কের দু’পাশের এসব স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু চাঁদপুরে এ নির্দেশ এখনও পালন হয়নি। রমজান শুরু হচ্ছে কাল এবং ঈদ আসন্ন। তবে সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ঈদের পরে আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে উঠা যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা থেকে ৬৬ জনের নামের তালিকা করে এর আগে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাছাড়াও নাম না জানা প্রায় ১ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনার তালিকাও ইতিমধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সওজ বিভাগ চলতি বছরে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ উচ্ছেদের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে রেখেছে বলে হাজীগঞ্জ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মতিন জানান।
চাঁদপুর সওজ হাজীগঞ্জ উপবিভাগীয় তথ্যমতে, হাজীগঞ্জ উপবিভাগের অন্তর্ভুক্ত ৮টি হাইওয়ে মহাসড়কগুলো হচ্ছে কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কের ২৩ কিলোমিটার হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ মহাসড়কের ১০ কিলোমিটার, হাজীগঞ্জ-কচুয়া সড়কের ৩২ কিলোমিটার গুলবাহার-কাশিমপুর সড়কের ১০ কিলোমিটার, দোয়াভাঙ্গা-শাহারাস্তি সড়কের ১৪ কিলোমিটার, চিতশী-চাটখিল সড়কের ২২ কিলোমিটার, কালিয়াপাড়া-কচুয়া সড়কের ১৩ কিলোমিটার ও মুদাফরগঞ্জ-চিতোষী-রামগঞ্জ সড়কের ২২ কিলোমিটার সর্বমোট ১৩৬ কিলোমিটার মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় হাজারো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে।
হাজীগঞ্জ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মতিন বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানায়, উচ্ছেদ পরিকল্পনা সবসময়ের জন্য চলমান রয়েছে। কিন্তু সময়মত জেলা প্রশাসন থেকে ম্যাজিস্ট্রেট প্রদান কিংবা উচ্ছেদের যন্ত্রাংশ সংকটের কারণে সময়মত উচ্ছেদ করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া রাজনৈতিক কারণেও অনেক সময় হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। তবে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে তত্তাবধায়ক সরকারের সময় সবচেয়ে সুবিধা।