
শাহরিয়ার খান কৌশিক
চাঁদপুরে প্রতিদিন দিনে-রাতে ট্রাক ও পিকআপবোঝাই করে জাটকা ইলিশ ঢাকায় পাচার হচ্ছে বেশ কয়েকটি চক্র।
সোমবার গভীর রাতে লক্ষিপুর মডেল ইউনিয়নের চাঁদপুর মডেল থানার এস আই পলাশের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে দুইটি পিকআপ গাড়ি জব্দ করে।
জেক গাড়ি ঢাকা মেট্রো ন ১৩-৪৯৭০ ২০ ও ছোট পিকচার থাকা মেট্রো ন-১৫-৯৬৬৩
গাড়িতে ড্রাম বোঝাই প্রায় দেড় হাজার কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
জাটকাগুলো আদালতের নির্দেশে থানা প্রাঙ্গণ হতেই আজ দুপুরে কয়েকশো দুস্থ মহিলাদের মধ্যে তৎক্ষণাৎ বিতরণ করা হয়।
এ সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাঁদপুর সদর সার্কেল জাহিদ পারভেজ চৌধুরী, বিজ্ঞান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন এবং সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
এই ঘটনায়
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন মৎস্য ব্যবসায়ী জিলন, আনু গাজী, পারভেজ, বাবুল বেপারী,
হানারচর ইউনিয়নের ইউসুফ গাজী, হাবিব শেখ ৬ জনকে আসামী করে মৎস্য সংরক্ষণ
আইনে নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলছে।
এদিকে ছোট পিকআপে থাকা
মেট্রো ন-১৫-৯৬৬৩ গাড়িতে জাটকা ইলিশ মাছ ড্রামে থাকা সত্ত্বেও পুলিশ সেই
গাড়িটি মালিকের সাথে সমন্বয় করে ছেড়ে দিবে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লক্ষিপুর মডেল ইউনিয়ন এর বেশ কয়েকজন জানায়, প্রতিদিন রাতেইউনিয়ন এর
গ্রাম পুলিশ মাসুদের বাড়ির সামনে এই দুইটি পিকআপ গাড়ি রেখে নদীর পাড়
থেকে সিএনজি যোগে জাটকা ইলিশ মাছ এনে গাড়িতে লোড করে। গভীর রাতে একই সাথে
মাছগুলো ঢাকায় পাচার করে। এই পাচারের সাথে জড়িত বিএনপি ও ছাত্রদলের এই
ছয় নেতা। তারা পেশী শক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ এই জাটকা ইলিশ মাছ
পাচার করছে।
এ বেপারে মডেল থানার এসআই পলাশ বড়ুয়া জানায়, ছোট পিকআপে
মাছ পাওয়া যায়নি, সেই গাড়িতে বস্তা পাওয়া গেছে। পরিত্যক্ত অবস্থায়
জাটকা মাছের ড্রাম পাওয়া গেলে সেগুলো ছোট পিক আপ গাড়িতে উঠানো হয়। সেই
গাড়িটি আমরা ছেড়ে দিবো। এই ঘটনায় মৎস্য আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা
দায়ের করা হয়েছে।