চাঁদপুরে মাঠে মাঠে দুলছে ইরি-বোরো ধানের শীষ। অর্থাৎ কৃষকের স্বপ্ন। ইতোমধ্যে ধানের শীষ অনেকটা বের হতে শুরু করেছে। এছাড়া আগাম জাতের ধানের শীষগুলো বের হয়েছে। আর অল্পদিনের মধ্যেই ধান পাকা শুরু হবে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, এ মৌসুম জুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের উৎপাত না থাকায় জেলার সব মাঠে ধান খুব ভালো হয়েছে। বাকী সময়ে আবহাওয়া ভাল থাকলে জেলার বোরো আবাদ বাম্পার ফলন হবে।
সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, গত সপ্তাহের ঝড়ো হাওয়ার কারণে অনেক জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। বের হওয়া ধান অনেকাংশ চিটা হয়েগেছে। কিছুদিন অতিবাহিত হলে বুঝা যাবে ক্ষতির পরিমান কি ধরণের।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের চাপিলা গ্রামের কৃষক মামুন খান বলেন, তিনি এবছর এক একরের বেশী জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। গত সপ্তাহের ঝড়ো হাওয়া অর্থাৎ গরম বাতাসে তার বিলের মধ্যে থাকা জমিগুলোর ক্ষতি হয়েছে। তবে বাড়ীর নিকটের জমিগুলোতে বাতাস না লাগায় এখনো ভালো আছে। এখন পর্যন্ত কোন কৃষি কর্মকর্তা মাঠের ধানগুলো দেখার জন্য কিংবা খোঁজ নেয়ার জন্য আসেনি।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ২০২০ সালে জেলায় ৫ হাজার হেক্টরের বেশী বোরো আবাদ হয়েছে। তবে বোরো আবাদের পরিমান দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
এদিকে, সরেজমিন জেলা সদর, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ, মতলব উত্তর, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া ও হাইমচর উপজেলা ঘুরে দেখাগেছে অধিকাংশ ফসলি জমিতে বাড়ী তৈরী হচ্ছে। বালু দিয়ে বরাট হচ্ছে কয়েকশ একর জমি। জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে বালু ভরাট হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে আশঙ্কাজনক হারে ফসলি জমি কমছে মেঘনা ধনাগোদা ও চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের মধ্যে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট/চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/