মিজানুর রহমান ॥ চাঁদপুরে মাদকাসক্তের ছুরিকাঘাতে মাইনুদ্দিন খাঁ (২৩) নামে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে তিনি ছুরিকাঘাতপ্রাপ্ত পিঠের উপর ৪১টি সেঁলাই নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ৩ জুলাই সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের রামদাসদী গ্রামে হামলার এই ঘটনা ঘটে। মাইনুদ্দিন স্থানীয় খাঁ বাড়ির দিনমজুর মো. বাচ্চু খার ছেলে। পেশাগতভাবে তিনি ইউনিয়নের দোকানঘর এলাকার তাকওয়া মডেল একাডেমীর শিক্ষাকতা করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আহত মাইনুদ্দিন জানায়, তার বড় বোন শাহনাজ গত ক’দিন ধরে প্যারালাইসিস হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। বোনের চিকিৎসার জন্য সে এবং তার পরিবার ধার-দেনা করে ১ লাখ টাকা জোগাড় করে। সোমবার রাতে মাইনুদ্দিন বোনেকে দেখে হাসপাতাল থেকে ওই টাকা সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামদাসদী এলাকার সানাউল্লাহ খাঁ বাড়ির কাছে গেলে হঠাৎ করে স্থানীয় নান্টু মিজির মাদকাসক্ত ছেলে রাব্বি (২০) তার গতিরোধ করে সামনে দাড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই রাব্বি ধারালো ছুরি দিয়ে মাইনুদ্দিনের গাড় থেকে পিঠ পর্যন্ত আঘাত করে। এতে মাইনুদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রাব্বি তার সাথে থাকা ১লাখ টাকা ও ১টি স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আহত মাইনুদ্দিনের ডাক-চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, মাইনুদ্দিনের পিঠের অনেকাংশ মারাত্মক জখম হওয়ায় সেখানে ৪১টি সেলাই করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক ।
রাব্বি মিঝি এর আগেও ওই এলাকায় বহু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। সে নিজে মাদক সেবন করে এবং মাদক বিক্রির সাথে জড়িত বলে এলাকা সূত্রে জানাযায়।স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে রাব্বির পিতা থাকেন বিধায় সেই প্রভাবে নান্টু মিজির বখাটে ছেলে একের পর এক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত মাইনুদ্দিনের–– পরিবার ।