চাঁদপুর শহর ও শহরতলীতে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবনের উল্লেখযোগ্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে পরিণত হয়ে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে প্রতিদিন মাদকাসক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাঁদপুর শহরে আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাড়ি, নির্জন বাগান ও খেলার মাঠ এখন মাদক সেবনের নিররাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদকসেবীরা। মাদক ব্যবসায়ীরা বিশেষ মহলের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে রমরমা মাদক বাণিজ্য করে আসছে। রাজনৈতিক প্রাঙ্গন উত্তাল হওয়ায় দেশে অবরোধ হরতাল চলাকালীন সময়ে পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যস্ত থাকার সুযোগ ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ীরা নির্দিধায় মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের ব্যাপক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন হয়ে পরেছে। জানা যায়, চাঁদপুর শহর ও শহরতলী এখন বিভিন্ন প্রকার মাদকে ছেঁয়ে গেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা চাঁদপুরকে মাদকের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে আসা এসব মাদক রাতের আধারে রাস্তা বাস ও মাইক্রোবাস যোগে অতি সহজে চাঁদপুর এসে এখান থেকে দক্ষিনাঞ্চলীয় খুলনা, বরিশাল, ভোলা, ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক লঞ্চ যোগে পাচার হয়ে যাচ্ছে চাঁদপুর থেকে। এ মাদক কুমিল্লা ছাড়াও নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর হয়ে চাঁদপুর এসে থাকে। মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে এ্যাম্বুলেন্স, সিএনজি ও মোটর সাইকেল যোগে কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর দিয়ে নগদ অর্থ গ্রহন করে চলে যায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের চাঁদপুরে অবস্থিত একটি সূত্র জানায়, চাঁদপুর-কুমিল্লার মধ্যে নতুন করে চালু হওয়া ডেম্যু ট্রেনটি সরাসরি চাঁদপুর আসায় কুমিল্লা থেকে মাদক হিসেবে ইয়াবা, হিরোইন, ফেন্সিডিল, গাঁজা, নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশান সহ বিভিন্ন মাদক রেলওয়ে পুলিশের সাথে যোগসাজসে প্রতিদিন চাঁদপুর আসছে। এগুলো চাঁদপুর এসে বিভিন্ন জেলার নদী পথে নিরাপদ রুট হিসেবে পাচার হচ্ছে। চাঁদপুর শহরে মাদক এসে চাঁদপুরকে মাদকের শহরে রূপান্তরিত করছে। স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা আনন্দের সাথে না বুঝে দিশেহারা হয়ে এ মাদক নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করছে। তাদের মেধা শক্তিসহ সর্বস্ব হারিয়ে দিন দিন মরণ পথে ধাবিত হচ্ছে। শহরও শহরতলীর প্রায় ১০ কিঃ মিটার এলাকার কমপক্ষে ৩০টি পাড়া মহল্লার শত-শত যুবক-যুবতী , ছাত্র-ছাত্রীরা পাট মন্ত্রনালয়ের পরিত্যাক্ত চাঁদপুর ৫নং ঘাট এলাকার চাঁদপুর হাউজিংয়ে এসে নিরাপদে মাদক সেবনের স্থান হিসেবে স্থানটিকে বেছে নিয়ে এখানে মাদক ব্যবহার করছে নিরাপদে। ইয়াবা, ফেন্সিডিল ক্রয়ের অর্থ যোগান দাতা গডফাদার ও মাদক ব্যবসায়ীরা অন্তরালে থেকে তাদের ছত্রছায়ায় থাকা সঙ্গীয়দের মাধ্যমে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করছে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।