শরীফুল ইসলাম ॥
এসো মিলি মুক্তির মোহনায় এ শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদপুর সরকারি হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিজয় মেলা মঞ্চে জাতীয় সংগীত ও ২৩টি মোম প্রজ্জলনের মাধ্যমে শুভ সূচনা করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। মেলার শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিগত বছরে অনেক প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে মেলা অতিবাহিত করতে হয়েছে। অনেক সময় সন্ধ্যায় এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সব কিছু মিলে মেলার সফল সমাপ্ত হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবন দিয়েছেন তাদেরকে শ্রাদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত দীর্ঘ ২২ বছর পেরিয়ে গৌরবের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আজ ২৩ বছরে পদার্পণ করলো। চাঁদপুরবাসীর প্রাণের মেলা, মিলন মেলা, ঐতিহ্যবাহী এ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সুনাম এখন চাঁদপুর জেলার গন্ডি পেরিয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম পেরিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। যে সকল বীর সন্তান যুদ্ধ করে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তাদের স্মরণে আজ উদযাপিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা।
তিনি আরো বলেন, ব্যক্তি জীবনে আমাদের দলমত ভিন্ন থাকতে পারে। কিন্তু স্বাধীনতা রায় আমরা সকলে এক। সুতরাং আমাদের চেতনা দিয়ে, বিশ্বাস এবং মননশীলতা দিয়ে আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমরা এমন কোনো অনৈতিক কাজ করবো না যাতে দেশের অমঙ্গল হয়। তাই দেশের স্বাধীনতা রায় আমাদের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নবপ্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। মেলা উদ্যাপনব পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. সেলিম আকবরের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ।অন্যান্যের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠন, ইয়াকুব আলী, অজিত সাহা, ব্যাংকার মুজিবুর রহমান, শিশু সংগঠক মো. হাফেজ আহম্মেদ, শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক কৃষ্ণা সাহা, সদস্য সচিব শরীফ চৌধুরী, মাঠ ও মঞ্চের আহ্বায়ক হারুন আল রশীদ, মাল্টিমিডিয়ার আহ্বায়ক ইয়াহিয়া কিরণ, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব মো. আব্দুল কাইয়ুম, মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব কে এম মাসুদ, স্মৃতি সংরক্ষন কমিটির আহ্বায়ক আ. ছোবান রানা, সদস্য সচিব অভিজিত রায়, সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মী ও বিজয় মেলা উদ্যাপনব পরিষদের সকল সস্তরের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলার গৌরবের ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে মোম প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে বিজয় মেলার শুভ সূচনা করেন জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর সহ অতিথিবৃন্দ। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী কৃষ্ণা সাহা, ইতু চক্রবর্তী, অনিতা কর্মকারসহ শিল্পীবৃন্দ।
শিরোনাম:
রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।