চাঁদপুর মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় ঈদের দিন থেকে প্রশাসনের তৎপরতা থাকা সত্রেও জেলেরা গোপনে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চরাঞ্চলে থেকে ডিমওয়ালা মা ইলিশ নিধন করছে। প্রশাসনের নদীতে কঠোর অবস্থান থাকা সত্বেও নিষেধাজ্ঞা ও আইন অমান্য করে আড়ৎদাররা নদীর মাঝখানে নৌকা নিয়ে গিয়ে মা ইলিশ মাছ ক্রয় করছে। কোষ্টগার্ড ও নৌ পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা চড়াঞ্চলের থাকা ছোট খালের ভিতরে ডুকে পরে পালিয়ে যায়। মূহূর্তের মধ্যে জেলে নৌকা উধাও, সরিয়ে নেয়া হয় ইলিশ মাছ। তার পরেও ছোট বড় ইলিশ নিধন চলছেই। চরাঞ্চলে নদীর পাড়ে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। প্রশাসনের গতিবিধি লক্ষ করে তারা মাছ ক্রয়-বিক্রয় করছে। সরজমিনে শুক্রবার নৌকা নিয়ে দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের লর্গিমারার চর এলাকায় নদীর পাড়ে বেশ কয়েকজন ভাসমান আড়ৎদার নৌকা নিয়ে জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ ক্রয় করছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রধান আড়ৎদার শহরের গুয়াখোলার বাচ্চু প্রধানিয়া, লর্গিমারার চরের দেওয়ানগো বাজারের শফিকুল কুড়ালী, কাউছ মাঝি, সেকুল বেপারী, সিদ্দি বেপারী, শাইফুল প্রধানিয়া, ফয়সাল বেপারী, মান্ধেগ বাজারের রনি,রফিকুল দেওয়ান, ওহাব আলী দেওয়ান। বুধবার দুপুর ১২টায় নৌ পুলিশ স্পীট বোড নিয়ে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মান্ধেগ বাজারের নদীর পাড়ে গেলে ফয়সাল বেপারী ও তার লোকজন তীর থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বলে এলাকার লোকজন এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নৌ পুলিশদের নিয়ে নদীতে গেলেও ভাসমান আড়ৎদারা পূবেই মোবাইলে খবর পেয়ে তড়িগরি করে চড়ের ভিতরে মাছ বিভিন্ন ঘরে নিয়ে রাখে। পুলিশ এ কারনে সেখানে হানা দিয়ে জেলে নৌকা ও মাছ কিছুই দেখতে পায়নি। প্রশাসনের কর্মকতারা চলে গেলে জেলেরা নৌকা নিয়ে পাড়ের দিকে চাপলেই মাছ দেখানোর পর চলে ক্রয়-বিক্রয়। মাছ কিনে ব্যাগে করে নিয়ে যাবার সময় আইনের লোক সামনে পরলে সেই ইলিশ মাছ জব্দ করা
ছাড়া প্রশাসন নদীর পাড়ের ভাসমান আড়ৎ গুলোর ও জেলে নৌকার মাছ আটক করতে পারে না। ফলে তারা থাকে ধরাছোয়ার বাহিরে। হাইমচর উপজেলার প্রত্যেকটি আড়ৎ সংলগ্ন এলাকায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার আখনের হাট, আলুবাজার, ঈদগাবাজার, চরমুকন্দি খাল, হানারচরের নন্দী দোকান, রাড়ীকান্দি খালের মুখ, লক্ষীপুর গুচ্ছগ্রাম, বহরিয়া, রামদাসদি স্লুইচ গেট নদীর পাড়, দোকান ঘর গুচ্ছ গ্রাম, ইব্রাহিমপুর গুচ্ছ গ্রাম, পুরানবাজার পশ্চিম জাফরাবাদ ইদ্রিস খাঁন বাড়ি সড়কের নদীর পাড়, রনাগোয়াল, আনন্দবাজার, সফরমালি, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকা, শরিয়তপুর জেলার চেয়ারম্যান স্টেশন ,দুলারচর, কাচিকাটারচর, চিরারচর, সুরেশ্বর এসব এলাকায় মা ইলিশ ব্যাপক নিধন ও ক্রয়-বিক্রয় করছে বলে জানা যায়। দিন রাত এখন ইলিশ শিকারের জন্য জেলেরা নদীতে সুযোগ খুজছে মাছ ধরার। অভিযান চলাকালে প্রথম কয়েকদিন নদীতে জেলে কম থাকলেও কম দামে ইলিশ কেনার মানুষের উপস্থিতি নদীর পাড়ে থেমে নেই। অভিযানের সামনের দিনগুলো কেমন যাবে এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান, প্রশাসনের কয়েকটি টিম টহলে রয়েছে। নদীতে কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ রয়েছে। তিনি আরো জানান, এখন ভরা প্রজনন মৌসুম চলছে। মা ইলিশ অর্থ্যাৎ ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম চলছে। পূর্নিমার আগের দুই দিন ও পূর্নিমার দিন এবং পরের ১২দিন অর্থ্যাৎ ২৫ সেপ্টেম্বও থেকে ১০ অক্টোবর এই ১৫ দিন নদীতে ইলিশ শিকার আইনত দন্ডনিয় অপরাধ।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।