রফিকুল ইসলাম বাবু ঃ কোন জাল ফেলবো না জাটকা ইলিশ ধরবো না’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুরে জাটকা সংরক্ষেণে নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা জাটকা সংরক্ষণ টাস্কর্ফোর্সের আয়োজনে এই র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার চাঁদপুরের বড়স্টেশন মোলহেড থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি রাজরাজেশ^র চরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলেদের সাথে জাটকা সংরক্ষণে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে ব্যানার, পোস্টার দিয়ে সজ্জিত ৩টি স্প্রীড বোর্ট ও শতাদিক ইঞ্জিল চালিত নৌকায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ডসহ জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়। র্যালি উদ্বোধন পূর্বে জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমাদের জাটকা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাটকা মাছ নিধনরোধ করতে পারলে বাংলাদেশ ইলিশের প্রাচুর্যে ভরে যাবে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়টাতে কোন অবস্থাতেই জাটকা ইলিশ ধরা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ জাটকা মাছ ধরতে নদীতে নামলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাটকা নিধনরোধে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু জাহেদ চৌধুরী পারভেজ, চাঁদপুর নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইসমাইল মিয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাসহ নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। পরে জাটকা নিধন প্রতিরোধ জেলা টাস্কফোর্স কমিটি চাঁদপুরের আয়োজনে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে জাটকা সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, শিশুদের নদী নামিয়ে জাটকা নিধন কৌশল বন্ধ করুন। আমরা চাই না কাউকে আহত করতে। কিন্তু আপনারা যদি সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের সম্পদ তবুও ক্ষতি করেন। তাহলে কিন্তু তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলী বেপারীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, চাঁদপুর নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইসমাইল মিয়া, জেলা মৎস কর্মকর্তা আসাদুল বাকি, ইকোফিশ বাংলাদেশ প্রকল্প চাঁদপুরের গভেষণা সহযোগী কি কংকর চন্দ্র সাহা, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হারুনুর রশিদ, মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ। হাইমচর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব রশীদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদরের সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, জেলা মৎসজীবী সমিতি সভাপতি আব্দুল মালেক দেওয়ান প্রমুখ। উল্লেখ, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘানার ৯০ কিলোমিটার এলাকায় মাছেদের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। এসময় জাটকাসহ কোন প্রকার মাছ ধরা যাবে না নদীতে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যদি কেউ মাছ ধরে বা জাল ফেলে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে জেল খাটা, জাল পুড়িয়ে দেয়া ও ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এসব জরিমানা এক বা একাধিকও হতে পারে।