চাঁদপুর যাত্রাবাহী ইমাম হাসান-২ লঞ্চের ষ্টাফ কেবিনে মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী কিশোরীকে জোর পূর্বক শ্লীলতহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় আসাামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে তার ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী আজিমুনেচ্ছা কে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়েছে। লঞ্চে কিশোরীর শ্লীলহানির ঘটনার পর চাঁদপুর মডেল থানার এস.আই মাসুদ শামীম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা তদন্তে ইমাম হাসান-২ লঞ্চে গিয়ে পরিদর্শন করেন। পরে এসময় ঘটনার সতস্যা প্রমান মিলে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিন মদনা দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে গত ২মাস পূর্বে তার বান্ধবীর মাধ্যমে ফরিদগঞ্জ থানার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়–য়া গ্রামের প্রবাশী বাদশা ছৈয়ালের ছেলে জাফর (২২) প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে মোবাইলের মাধ্যমে কিশোরীকে পটিয়ে দেখা করার নামে গত ১৩ জুন রাতে চান্দ্রা চৌরাস্তা থেকে সিএনজি স্কুটারে উঠিয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নিয়ে আসে। এসময় জাফর ছৈয়ালের বন্ধু ফরিদ, জসিম, ইমান, মাসুদ ঢাকাগাামী ইমাম হাাসান-২ লঞ্চের ৩য় তলায় ষ্টাফ কেবিন ভাড়া নিয়ে জাফর ও কিশোরীকে উঠিয়ে দেয়। তারা ৪জন বহিরে প্রাহারা দেয়। লঞ্চ ছাড়ার পূর্বে রাত সাড়ে ১০টায় জাফর কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক কেবিনের ভিতরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্লীলহানি করে। ১৪ তারিখ সকালে কিশোরীকে নিয়ে জাফর ও তার বন্ধুরা সোনার তরী লঞ্চযোগে চাঁদপুরে চলে আসে। পরে কিশোরীকে তারা জাফরের বন্ধু ফরিদের চাচার বাড়ি হাইমচর থানায় ২নং আলগী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে হানিফা ওরফে চোরা হানিফা মিজি বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় আশে পাশের লোকজন তাদের সন্দেহ করলে কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হয়। পরে হাইমচর উত্তর আলগীর মাাসুদ হাজারী, ইসমাইল, দেলোয়ার বেপারী ফরিদগঞ্জ পশ্চিম লাড়–য়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম ছেলে আবু তাহের, সলেমান চকিদার সহ কয়েকজন কিশোরীকে আটকে রেখে তার মা আজিমুন্নেছাকে খবর দিয়ে হাইমচর আনে। পরে তারা কিশোরীকে সিএনজি স্কুটারে নিয়ে জাফরের বাড়ির কাছে রায়ের বাজার এনে রাখে। আবু তাহের ও দালালরা জাফরের মার কাছে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মেয়ে মামলা করবে বলে হুমকী দিয়ে তার কাছ থেকে সমস্যা সমাধান করবে বলে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আবু তাহের ও উল্লেখিত দালাল চক্ররা সেই টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে কিশোরীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার মার কাছ থেকেও ২০ হাজার টাকা দাবী করে। পরে টাকা না দেওয়ায় তাদের কাছ থেকে জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এ্ই ঘটনা জানাজানি হলে কিশোরীর মা আজিমুন্নেছা চান্দ্রার কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে মেয়ের ধর্ষনকরীদের বিচারের দাবীতে চাঁদপুর মডেল থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ করার পর খবর পেয়ে অপরাধী জাফর তার বন্ধু ফরিদ, জসিম মেয়ের মার মোবাইলে ফোন করে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশোরীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।