চাঁদপুরে যাত্রীবাহি লঞ্চের কেবিনে তরুনী হত্যার ঘটনায় ও অসামাজিক কার্যকলাপ রুখতে যাত্রীবাহি লঞ্চের কেবিনে তল্লাশী চালিয়ে ৫ জোড়া কপোত-কপোতিকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত ৯ টা থেকে ১২ পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নোঙ্গর করা অবস্থায় যাত্রীবাহি মিতালী-৪,ময়ুর-৭ ও ইমাম হাসান লঞ্চে তল্লাশী চালিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে যাত্রীবাহি এমভি আবে জম জম লঞ্চে ১১২ নং স্টাফ কেবিন থেকে অজ্ঞাত ৩০ বছর বয়সি এক তরুনীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ধরনের ঘটনা যাতে যাত্রীবাহি লঞ্চে আর না ঘটে ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে নৌ পুলিশের এ ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়। নৌ পুলিশের ইনচার্জ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই জসিম,এএসআই মুনছুর ও এএসআই ইয়াকুব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো রামগঞ্জের ফানিউল্লা গ্রামের মৃত সফিউল্লার ছেলে রিপন (২৪) এর সাথে তার প্রেমিকা শাহারাস্তির রাজাপুরের আবু তাহেরের মেয়ে শাহিনা আক্তার (২০), রায়পুর রাখালিয়া গ্রামের সফিউল্লা বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) ও তার প্রেমিকা রায়পুর শাহেস্তানগরের আব্দুল আলীর মেয়ে নাছরিন বেগম (২৫), ফরিদগঞ্জ গনিয়া গ্রামের আবু তাহেরে ছেলে আহসান হাবিব সৈকত (২২) তার প্রেমিকা ঢাকা মিরপুরের ১৪৫-এ পশ্চিম কাফরুল মোল্লা পাড়ার শামছুল হকের মেয়ে ফাতেমাতো জোহরা (১৮), হাজিগঞ্জ জিয়া নগরের আবু তাহেরের ছেলে খোকন মিয়া (৩৩) এর সাথে তার প্রেমিকা খাজুরিয়া গ্রামের বারেক মোল্লার মেয়ে কুসুম আক্তার (৩০) ও পটুয়াখালির ছোট আউলিয়া গ্রামের সাত্তার খানের ছেলে জামাল খান (৩৫) এর সাথে তার প্রেমিকা বরগুনা কালিতলীর জয়নাল মোল্লার মেয়ে রুমানা (৩৮)। আটককৃতদের মডেল থানা পুলিশ তাদের স্বজনদের খবর দিয়ে এনে মুচলেখা রেখে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।