শওকতআলী॥:
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এড.হুমায়ুন কবির বলেছেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের জনগনের ও শ্রমিকদের দাবীর দিক বিবেচনা করে যমুনা সেতু নির্মান করেছেন। খুনি খালেদা জিয়া সেসেতু করতে চায়নি। শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নেতাদের কথা মত শ্রমিকদের জন্য অনেক কিছু করার চিন্তা করেন। কিন্তু এ দেশের আমলা তান্ত্রিক জটিলতার কারনে সমস্যা হচেছ। নেত্রী চান ডিজিটাল পদ্বতি আর আমলারা চান এনালক পদ্বতি। বিশ^বাসির কাছে শেখ হাসিনা প্রশংসিত ও প্রমানিত হয়েছে,শেখ হাসিনার আমলে পদ্মা সেতু হচেছ দুনীতি মুক্ত ছাড়া। এতে দেশবাসীকে শেখ হাসিনা প্রশংসিত করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন কি করে সম্বব এ দেশে এত বিশাল পদ্মা সেতু করা। শেখ হাসিনা কোন জাতিগত দিক বিবেচনা না করে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য দরজা খুলে দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। এতে করে শেখ হাসিনা বিশ^বাসীর কাছে আমাদেরকে প্রশংসিত করেছেন। বিশ^বাসীর কাছে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন।
গতকাল বিকেলে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ চাঁদপুর শাখার আয়োজনে চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে অফিসার্স রেস্ট হাউজে শ্রমিকলীগের কর্মী সমাবেশে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ চাঁদপুর শাখার সভাপতি মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আবদুল হান্নানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথাগুলো বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মো: নূরুল ইসলাম মিয়াজী ও চাঁদপুর পৌর মহিলা কাউন্সিলর ও জেলা যুব আওয়ামীগের সভাপতি মিসেস ফরিদা ইলিয়াছ ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা মো: মফিজুর রহমান।
কেন্দ্রীয় সভাপতি হুমায়ুন কবির আরো বলেন,আমাদের দেশে রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আন্ত:জাতিক সমস্যায় পরিনত হয়ে পরেছে। রেলওয়ে শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সস্মেলনও এখন দরকার। কেন্দ্রীয় সস্মেলনের পরে সকল শাখা কমিটি সস্মেলনের মাধ্যমে করা হবে। তিনি বলেন,কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিদ্বান্ত হয়েছে,রেলওয়ে শ্রমিকলীগের কমিটিতে অবসর প্রাপ্ত ২জনকে দায়িত্ব দেওয়া যাবেনা। যদি শ্রমিকরা চায় তা হলে এক জনকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। কর্মরত যারা শাখা কমিটির দায়িত্বে থাকবে তারা নিজেরা সকল ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, কোন শ্রমিককে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কোন কর্মকতা সমস্যা সৃস্টি করলে তাকে ছাড় দেওয়া যাবেনা। কোন শ্রমিক শ্রমিকলীগের কাজে বা শেখ হাসিনার সরকারে কাজে গেলে তাকে সেক্ষে হয়রানি করা হলে ঔ কর্মকতাকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তিনি শ্রমিকদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন,কোন শ্রমিক তেল চুরি,গাজাঁ বিক্রি ও মাদক পাচারের সাথে বা পাচার কারির সাথে সম্পর্ক থাকলে তাদেরকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা। অন্যায় ভাবে কোন শ্রমিককে কোন কিছু করা হলে আমি তাদের সাথে থাকবো। আওয়ামীলীগের সময় যারা চাকরীতে এসেছেন,তারা স্বর্ন যুগে চাকরীতে যোগ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ২০১০সালে ক্ষমতায় আশার পর রেলওয়ে ও রেলওয়ে শ্রমিকলীগের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং শ্রমিকলীগে শ্রমিকরা যোগ দেওয়ায় শ্রমিকলীগ অনেক শক্তি শালী হয়েছে। চাকরী পাওয়া না পাওযার বেদনা থাকবে। সবাইকে চাকরী দেওয়াতো সম্বব না। অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের পেনশান পাওয়া দরকার আছে। সব শ্রমিকের সন্তান সু সন্তান হয়না। সন্তানরা সঠিক পরিচর্যা না করায় মা-বাবাকে বৃদ্বা আশ্রমে যেতে হচেছ। তাই শ্রসিকদের পেনশান প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নে চট্রগ্রামের সাথে কক্রবাজারের রেলওয়ের উন্নয়ন কাজ তড়িৎ গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ১ বছরের মধ্যে চট্রগ্রাম থেকে কক্রবাজার যেতে পারবেন। তিনি আরো বলেন,এ চাঁদপুর শহরে নৌকা মার্কা নিয়ে যে আসবেন তাকে আমরা জয়ী করবো। আমাদের স¦াথে ও দেশের স্বাথে নৌকার পক্ষে কাজ করবো। আপনারা বিএনপি নির্যাতন বুলে যাবেন না। তারা আবার ক্ষমতায় আসলে তাদের নির্যাতন আরো বেড়ে যাবে। তাই আপনাদের প্রয়োজনে এ সরকারকে আবার ক্ষমতায় নিতে হবে। চাঁদপুরে শ্রমিকলীগ ছাড়া কোন দল থাকবেনা। শেখ হাসিনা রেল বান্ধব সরকার,শেখ হাসিনা শ্রমিক বান্ধব সরকার,শেখ হাসিনা উন্নয়ন বান্ধব সরকার। কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিকলীগ চাঁদপুর শাখার কার্যকরী সভাপতি আবদুল মালেক, সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন,জাহান শরীফ,যুগ্ন-সম্পাদক মো: সোলেমান ভুঁইয়া,আবুল কাশেম,সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান জনি,কোষাদক্ষ আবু কাউছার ,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক গোপিনাথ জমাদার, সদস্য রাজু দাস,চন্দ্রন হরিজন,দীলিপ দাস,দীরজ নগন হরিজন,জনি দাস,সাগর,কিশোর লাল হরিজন প্রমুখ।