মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুর শহরের মঠখোলা এলাকার শিলন্দিয়া গ্রামের অরবিন্দ চন্দ্রের ছেলে বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সঞ্জয় চন্দ্র (৩৮)’র সাথে শহরের বাবুরহাট এলাকার দক্ষিণ দাসদী খানবাড়ি এলাকায় বেলায়েত হোসেন খানের মেয়ে আইরিন পারভীনের সাথে গত প্রায় ৫/৬ বছর পূর্বে হিন্দু ছেলে ও মুসলমান মেয়ের মধ্যে অসম প্রেম গড়ে ওঠে। এ সময় প্রতারক সঞ্জয় চন্দ্র আইরিনের কাছে তার পূর্বের বিয়ে করা স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন রেখে তাকে ফুসলিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের সময় আইরিন পারভীন ছেলেকে মুসলমান হয়ে এবং ইসলামী শরা শরীয়ত অনুযায়ী বিয়ের কথা বললে প্রতারক সঞ্জয় চন্দ্র নাটকের আশ্রয় গ্রহণ করে ভাড়া করা কাজী ডেকে এনে ভুয়া বিয়ের কাবিননামা এবং এফিডেভিট সম্পাদন করে। প্রকৃত পক্ষে ওই কাবিননামা ছিলো একটি সাজানো নাটক মাত্র, যা আইরিন পারভীন বুঝতে পারেনি। দীর্ঘ চার বছর সঞ্জয় চন্দ্রের সাথে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করে টুটুল (জয়) নামে একটি পুত্র সন্তানের জননী হয়ে অবশেষে তার ভুল ভাঙ্গে। প্রতারক সঞ্জয় ধরা পড়ে আসলে সে মুসলমান হয়নি এবং তাদের বিয়ের কাবিননামা ছিলো ভুয়া। বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল সোমবার রাতে সঞ্জয়ের শ্বশুরবাড়ি শহরের বাবুরহাট এলাকার দক্ষিণ দাসদী খানবাড়ি এলে তাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আটক করে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখে।
এ ব্যাপারে আইরিন পারভীন জানায়, আসলে সঞ্জয় আমার সাথে সম্পূর্ণ প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে আমাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে আমার জীবনটা তছনছ করে দিয়েছে। তার যে বিয়ে করা আগের স্ত্রী-সন্তান আছে তা আমাকে বিয়ে আগে কখনোই বলেনি। বিয়ের পরে আমি জানতে পারি সঞ্জয়ের আগের বিয়ে করা স্ত্রী সীমা রাণী এবং শ্যামা নামের ৯ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়াও সঞ্জয় বিয়ের পর থেকে নানা কৌশলে আমার বাবার কাছে প্রায় ৮/৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে, যা আজও শোধ করেনি।
এ ব্যাপারে সঞ্জয় চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, আমি প্রতারণা করিনি। আমার স্ত্রী আইরিন পারভীন সব জেনেশুনেই আমাকে বিয়ে করেছে। তবে এটা ঠিক আমি আমার শ্বশুরের কাছ থেকে ৭/৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।