শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক।। চাঁদপুরে নিজের শিশু মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় পাষন্ড মা রোখসানা ওরফে ওসুমা বেগম(২৫)কে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার সকাল ৯টায় সদর উপজেলার ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে পাটওয়ারী বাড়িতে ৮ বছরের শিশু বিথিকে তার নিষ্ঠুর মা হত্যা করার চেষ্টা করে।
শিশুর ডাক চিৎকারে আসে পাশের মানুষ এসে ঘর থেকে গলায় রশী বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খাঁনকে জানালে তার নির্দেশে মহিলা গ্রাম পুলিশ পারভিন ও স্বপনা বেগম শিশু বিথীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
শিশু নির্যাতনের খবর শুনে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম শিশুর মা পাসন্ড রোখসানা ওরফে ওসুমা বেগমকে আটক করার নির্দেশ দেয়।
রবিবার বিকেলে শহরের ছায়াবানী এলাকায় মডেল থানায় এসআই মফিজুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে চালিয়ে রোখসানা ওরফে ওসুমা বেগমকে আটক করে।
আহত শিশু বিথী লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের দোকানঘর এলাকার মিজি বাড়ির হান্নান মিজির মেয়ে।
জানা যায়, বহরিয়া শ্রীরামপুর গ্রামের খলিল পাটওয়ারী মেয়ে রোখসানা ওরফে ওসুমার সাথে হান্নান মিজির বিয়ে হয়।
দাম্পত্ত জীবনে তাদের ৪টি সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর পূর্বে রোখসানা ও হান্নান মিজির সাথে ঝগড়া বিবাদ হওয়ায় উভয়ের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
পরে ৪ সন্তান নিয়ে রোখসানা ওরফে ওসুমা বাবা খলিল পাটওয়ারির বাড়িতে থেকে অন্যের বাড়িতে জিয়ের কাজ করে নিজের সংসার চালায়। রোখসানার শিশু বাচ্চারা অভিমান করে কান্না করলে সে তাদের উপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন।
ঘটনারদিন সকালে তার মেয়ে বিথী জামা কাপর ছিড়ে ফেলায় মা রোখসানা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
পরে রোখসানা তার শিশু মেয়ের গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। শিশু বিথীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছেকা দেয় জ্বলসে দেয়।
বাড়ির মানুষ অবশেষে শিশু বিথীকে পাষন্ড মার কাছ থেকে উদ্ধার করে শেষ রক্ষা করে।শিশু বিথী বর্তমানে সদর হাসপাতালে গ্রাম পুলিশের পাহারায় চিকিৎসাধীন আছে।