শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥ চাঁদপুরে আবাসিক হোটেল গুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক সেবন, ক্রয়-বিক্রয় এখনো বন্ধ হয়নি। চাঁদপুর শহরের জে এম সেনগুপ্ত রোডস্থ হোটেল শেরাটন (পূরবী) থেকে কিশোর কিশোরীকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে হোটেল শেরাটন ৩য় তলার ১০২নং কক্ষ থেকে আপত্তি কর অবস্থায় এসআই ফিরোজ আলম তাদেরকে আটক করে। আজ বুধবার সকালে দলাল চক্ররা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ৩০ হাজার অভিবাবকদের কাছ থেকে নিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে কিশোর কিশোরীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। জানা যায়,ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালুথুবা ইউনিয়নের বালুথুবা গ্রামের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার(১৮) তার বোনের ছেলে আলামিন একাডেমীর ১০ম শ্রেনীর ছাত্র সৈকত মিজি(১৬) এর সাথে হোটেল শেরাটনের ১০২নং কক্ষে ওঠে। সেখানে তারা অনৈতিক কাজে মিলিত হলে চাঁদপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক ফিরোজ আলম গোপনে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। জানা গেছে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদি ডিবি হাই স্কুল সহকারী শিক্ষিকা শাহিদা বেগমের ছেলে সৈকত মিজি এর আগেও এই মেয়েকে নিয়ে চাঁদপুরের বিভিন্ন হোটেলে রাত্রীযাপন করেছে। হেটেল শেরাটন থেকে পুুলিশ কিশোর কিশোরীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে দালাল চক্র ও রাজনৈতিক দলের নামধারী নেতারা ব্যাপক তদবির করার পর তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। কিশোর কিশোরীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার বিনিময়ে তারা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে অভিবাবকদের কাছ থেকে ৩০ হাজার হাতিয়ে নেয়। এদিকে এই ঘটনা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য পশ্চিম সকদি ডিবি হাই স্কুল সহকারী শিক্ষিকা শাহিদা সাংবাদিকদের টাকার বিনিময়ে চেস্টা করে ব্যার্থ হয়।
চাঁদপুরে হোটেলগুলোতে অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধের লক্ষ্যে বুধবার সকালে মডেল থানায় হোটেল মালিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। তার পরেও এ সব হোটেলে অসামাজিক বন্ধ হয়নি।
প্রশাসনের নজরদারি কম থাকায় দিন দিন হোটেলগুলোতে অপরাধ প্রভোনতা বেড়ে যাচ্ছে। কলেজ-স্কুল পড়য়া ছাত্র ছাত্রীরা ও ভ্রাসমান পতিতারা এ সব হোটেলে গিয়ে অবাধে যৌন কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এতে করে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সব হোটেল গুলোর মধ্যে শহরের পুরবী মার্কেটে তৃতীয় তলায় হেটেল শেরাটন, কালিবাড়ি টাউনহল মার্কেটে তৃতীয় তলায় শরিয়তপুর হোটেল, রজনীগন্ধা মার্কেটে রজনীগন্ধা হোটেল, তাজমহল, শ্যামলী,নিউ শ্যমলী, বিটি রোড়ে আল-রাশিদা ,আল-রাজিব, বড় স্টেশন সুন্ধরবন, সোহাগ হোটেল, রশিদ আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দেদাছে চলে আসছে। কালিবাড়ি টাউনহল মার্কেটে তৃতীয় তলায় শরিয়তপুর হোটেল, হেটেল শেরাটন,আকবরী হোটেলে মেয়েদের রেখে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে হাজার হাজার টাকা অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি শ্যামলী ,তাজমহল হোটেল, শরিয়তপুর হোটেল থেকে কলেজ পড়য়া প্রেমিক যুগলকে থানা পুলিশ আটক করে। এছাড়া হেটেল শেরাটনে উঠার ৪টি সিড়ি থাকায় পুলিশ আসলেই হেটেলের ম্যানেজার জসিম পিছন দিয়ে মেয়েদের বের করে দেয়। এই হোটেলে বেশ কয়েকটি রুমে প্রতিদিন চলে মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়। বেশ কয়েকবার চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ি ও পতিতা খদ্দরদের আটক করলেও সঠিক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন না করার কারনে তারা আবারো অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । তাই প্রশাসনের নজরদারী ও অভিযান প্রতিদিন হেটেলগুলোতে অব্যাহত থাকলে অপরাধ প্রভনতা কমবে বলে সচেতন মহল দাবি করে।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।