চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট:
১৮ দলীয় জোটের ডাকা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে সারা দেশ ব্যাপী টানা (১৩১ ঘন্টার) অবরোধ কর্মসূচির ৪র্থ ২ দিনে কর্মীর নিহতের ঘটনায় চাঁদপুর শহর রণক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়। গত ৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর শহরে ১৮ দলীয় জোটের মিছিলে পুলিশের সাথে বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলি বর্ষণে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের ২ কর্মী হওয়ার ঘটনায় ১৮ দলীয় জোট চাঁদপুর জেলায় আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে। সকাল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহারের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির যৌথ ভাবে শহরের হরতালের সমর্থনে ও রতন পাটোয়ারী ও সিয়ামের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে মিছিল করেছে। সকাল ১০টায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বসে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এ সময় তারা শেখ হাসিনার অপসারণের ও ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার বিভিন্ন ধরনের শ্লেøাগান দিতে থাকে। পরে তারা হরতালেল সমর্থনে শহরে একটি বিশাল মিছিল বের করে। মিছিলে উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীর মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামান, আক্তার হোসেন মাঝি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা খান সফুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান গাজী, যুব বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বাবু, জেলা জামায়েতের আমীর এএইচ আহমদ উল্যাহ মিয়া, সেক্রেটারী বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, জেলা যুব দলের সভাপতি শাহ জালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চান্দু, শহর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বেপারী, যুগ্ম আহ্বায়ক দিন মোহাম্মদ জিল্লু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার সহ ১৮ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খাস বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক অ্যাড. জাহঙ্গীর খান, সদস্য-সচিব হযরত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য মীর আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্যাহ খোকন ও ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন শিশুর নেতৃতত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একটি মিছিল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকয় বের হয়। এদিকে হরতাল ও অবরোধ কারীরা ভোর রাতে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে শাহতলী এলাকায় রেললাইনের ফিস প্লেট খুলে ফেলায় আন্তঃনগর মেঘনা ট্রেন ৫শতাধিক যাত্রী নিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। চাঁদপুরের সাথে সম্পূর্ণ ভাবে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অপর দিকে চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘোষের হাট নামক স্থান থেকে বাকিলা বাজার পর্যন্ত হরতাল সমর্থন কারীরা প্রায় শতাধিক স্থানে গাছ কেটে মহাসড়কের উপর ফেলে রাখে। একই ভাবে বাবুর হাট মতলব পেন্নাই সড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলা হয়। গতকালের হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কে। নিজ গাছতলা এলাকা থেকে শুরু করে বাগড়া বাজার পর্যন্ত এই কয়েক কিলোমিটার রাস্তায় কমপক্ষে ৩০টি গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে অবরোধ করে রাখা হয়। চাঁদপুর শহরে হরতাল সমর্থন কারীরা মিজানুর রহমান সড়কের পাল ব্রীজের সম্মুখে বেশ কয়েকটি রিক্সা ভাংচুর করে ও বাটার শো-রুমের বিপরীতে একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। রাত সাড়ে ৮টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ গেইট এলাকায় অবরোধকারীরা পর পর বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় এবং রিক্সা ভাংচুর করে। তারা চিৎকার দিয়ে ছুটা ছুটি করে এলাকায় অতংক ছড়ায়। পরে পুলিশ আসলে অবরোধকারীরা মহল্লার দিকে চলে যায়।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।