প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারে প্রধানমন্ত্রী অবাধ তথ্য অদিকার আইন পাশ করে জনগণকে সকল কিছু জানার দ্বার উন্মোক্ত করেছে। আগে সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা তথ্য দিতে চাইতেন না। তথ্য অধিকার আইনের ফলে এর বিরাট সাফল্য ভোগ করছে সাংবাদিকরা তারা আজ অনেক সহজে তথ্য জানতে পারেন। সরকার সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট করেছেন সাংবাদিকদের কল্যানের জন্য। তিনি আবাসন সুবিধার ব্যাবস্থা করেছেন। এর সুফল মফস্বল সাংবাদিকরাও পাচ্ছে। এ সকল কিছু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবেদনশীল বলেই। দেশে বিভিন্ন সময়ে অনেক সাংবাদিক হত্যা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের হত্যার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো এত কঠিন কাজ করছেন। আমার বিশ্বাস তিনি অবশ্যই দেশে সকল সাংবাদিক হত্যার সুষ্ঠা বিচারও তিনি করবেন। আমাদের সামনে কঠিন সময় আসছে। এসব কঠিন সময় উপেক্ষা করে সরকারের লক্ষ্য ২০২০ সালে জাতির জনকের জন্ম শত বার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারে উন্নয়নের একটি উদাহরন আপনাদের উদেদ্দশ্যে বলছি। আমি গত দুই দিন আগে জাতীর জনকের জন্ম ভূমি টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে গিয়েছিলাম। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালী পাড়া একটি উপজেলা আছে যা একে বারেই অবহেলিত ছিল। ৯৬ সালে আওয়ামীল ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী তার জন্ম ভ’মির এলাকার উন্নয়নে হাত দেন। সেদিন এক সভা কোটালী পাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্যে বলেন আমাদের এখানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। আর দুই বছর এ উন্নয়নের ধার অব্যাহত থাকলে এ এলাকার মানুষের আর চাওয়ার কিছুই থাকবে না। সোমবার বিকেল চাঁদপুর প্রেসকাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেন চাঁদপুরের সাংবাদিকরা আমার সাথে আছেন বলেই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। দীর্ঘ ১৫ বছরের রাজনৈতিক জীবন চাঁদপুরের সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমি অনেক সহযোগা পেয়েছি। আমার জীবনের শুরু সংবাদপত্রের জগতের মধ্য দিয়েই । শিশু বয়সের অনেক সময় কেটেছে ইত্তেফাক পত্রিকার ছাপাখানায় ঘুরে ঘরে। আজ আমাকেকেউ কেই সাংবাদিক কন্যা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি সবসময় পূরন করেন যেমনি করেছেন তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। চাঁদপুরের উন্নয়নে ও সাংবাদিকদের কল্যাণে যা কিছু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে আমি শুধু দায়িত্বটুকু পালন করেছি মাত্র। আজকে এ মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক ভাইয়েরা যা কিছু চেয়েছেন তার একটিও অযৌকিবতক নয়। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের জন্য আইন করে কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের ব্যবস্থা করেছে। এ ট্রাষ্ট থেকে শুধু ঢাকার সাংবাদিকরা নং জেলা শহরের সাংবাদিকরা অনুদান পেয়ে থাকেন। বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ হয়েছে আর যা বকী আছে আমার বিশ্বাস তাও হয়েে যাবে। চাঁদপুরে একটি শিশু পার্কের অভাব রয়েছে তা অনেকেই বলেন। চাঁদপুরে নদীবন্দরের আধুনিকায়নের কাছ হাতে নেওয়া হয়েছে এর সাথেই শিশু বা বিনোদন পার্ক তৈরির চিন্তা আমাদের রেেয়ছে।
চাঁদপুর প্রেসকাবের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবনের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএম হান্নানের পরিচালনায় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো: আমির জাফর, অতিরিক্ত জেরা প্রশাসক (সার্বিক) নুরুল্লাহ নুরিু, চাঁদপুর প্রেসকাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, কাজী শাহাদাত, শাহ মোহাম্মদ মাহসুদুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, প্রেসকাবের সদস্য ওচমান গণি পাটওয়ারী, দৈনিক চাঁদপুর বার্তার র্ভারপাপ্ত সম্পাদক শহীদ পাটওয়ারী, দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রহিম বাদশা, দৈনিক মেঘনা বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল আউয়াল রুবেল, দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক জি এম শাহীন, সাংবাদিক সোহেল রুশদী প্রমূখ।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।