চাঁদপুর প্রতিনিধি-
চাঁদপুর-চট্টগ্রাম এর মধ্যে চলাচলাকারী মেইল ট্রেন সাগরিকা এক্সপ্রেস সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে বিকেলে চলন্তবস্থায় লাইনচ্যুত হয়। এতে কমপক্ষে মহিলা-পুরুষ ও শিশুসহ ৩০জন যাত্রী আহত হয়েছে এবং শ’শ’ যাত্রী প্রাণে রক্ষা পায়। বিলম্বে ট্রেনটি চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের সংস্কার ও উদ্ধার কাজ চলছে।
সরেজমিনে চাঁদপুর স্টেশন এলাকায় গিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর থেকে ৩০ আপ সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২টা ২৫ মিনিটের স্থলে ৩টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি স্টেশন ইয়ার্ড পার হওয়ার পূর্বেই ৩টা ৪৫ মিনিটে দ্রুত গতিতে চালানের ফলে পেছনের ৮০২নং বগিটি হঠাৎ যাম্পিং করে লাইনচ্যুত হয়ে প্রায় ৩০ ফিট রেললাইন ধুমরে মুচরে ৩০টি স্প্রিফার, রেলপাত ও রেলক্রসিং ভেঙ্গে সামনের দিকে যেতে থাকে। এ সময় যাত্রীরা বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ট্রেনের দরজা-জানালা ও উপর থেকে লাফিয়ে পড়তে থাকে। এতে করে কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত হয়। তাৎক্ষণিক চালক টের পেয়ে ট্রেনটি থামিয়ে ফেলে। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে রেলওয়ের টিএক্সআর বিভাগের দায়িত্বরত টিএক্সআর আবুল কাশেম ঐ বিভাগের লোকবল নিয়ে ট্রেনের বগিটি কেটে চাঁদপুরে রেখে দেয়। কেটে রাখা বগিটির ২শতাধিক যাত্রী অপর ট্রেনে উঠে সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। ৪টা ৫ মিনিটে সময় ট্রেনটি বিলম্বে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। টিএক্সআর বিভাগ ট্রেন উদ্ধার কাজ করছে এবং রেল পথের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা এসএই/ওয়ে চাঁদপুরে কর্মরত আব্দুল হাই তার বিভাগীয় লোকজন নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রেলপথ সচল করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার সফিকুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করবেন। –
শিরোনাম:
রবিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।