এম এ আকিব ॥
চাঁদপুরে সিএনজি চালকদের বেপরোয়া চলাচলে নিয়মিত ঘটছে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা, আর এতে দীর্ঘ হচ্ছে হতাহতের তালিকা। এসব সিএনজি চালকদের অধিকাংশরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিস্ট কতৃপরে তেমন কোন কার্যকরী পদপে না থাকায় সিএনজি চালকরা কোন প্রকার ট্রাফিক আইন না মেনেই বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে সিএনজি। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় অকালেই প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব জীবন বরণ করতে হচ্ছে।
এক পরিসংখানে দেখা যায় গত ২/৩ মাসে শুধু চাঁদপুর শহর ও শহরতলীতে এমন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১৫/২০টি। আর হতাহত হয়েছে প্রায় শতাধিক। এসব সড়ক দুর্ঘটনার পরও এ পর্যন্ত সংশ্লিস্ট কতৃপ কোন কার্যকর পদপে নেয়নি। আর তাই এখন সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এমনই এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ঘোষের হাট বাজার এলাকায় চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কে। যে খানে একই পরিবারের মা ও শিশুসহ ২জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩ জন। এমন ঘটনা লিখতেগেলে পত্রিকার পাতাই শুধু ভরবে কিন্তু হবে না দুর্ঘটনা এড়াতে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গহেন। সচেতন মহলের প্রশ্ন এমন আর কত দুর্ঘটনা ঘটলে টনক নড়বে সংশ্লিস্ট কতৃপরে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিপন হোসেনের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, প্রোয়োজনের তুলনায় রোডে অতিরিক্ত সিএনজি চলাচল করায় মালিক জমা উঠাতে গিয়ে অধিকাংশ ড্রাইভারই দ্রুতবেগে গাড়ি চালায়। আর এ কারনেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটি আইন প্রোয়োগকারী সংস্থারই দুর্বলতা। কারণ ট্রাফিক পুলিশ প্রতিটি সিএনজি থেকে মাসে ২হাজার টাকা করে মাশোয়ারা নিচ্ছে। আর তাই সিএনজি ড্রাইভাররা লাইসেন্স করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না।