শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক।। চাঁদপুরে স্ত্রী সন্তান রেখে মামাতো বোনের সাথে পরকিয়ার ঘটনায় সাত মাসের অন্তঃসত্বা হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের ছোট দর্জী বাড়ির সুমন মিজির বসতঘরে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট দর্জী বাড়ির
মৃত নূর আলমের বখাটে ছেলে সুমন মিজি ও পরকিয়া প্রমে আসক্ত ছলেমান মিজীর ৭ মাসের অন্তঃসত্বা মেয়ে লোক লজ্জার ভয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে রয়েছে।
এই ঘটনায় রামপুর দেবপুর গ্রামে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
এদিকে বখাটে সুমন মিজীর প্রথম স্ত্রী বাবা হারা এতিম সুমি আক্তার তার শিশু সন্তান শিহাব(৩) ও ৩ মাসের শিশু আরমানের কোন খোজ খবর না নেওয়ায় তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
রবিবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ৩ বছর পূর্বে রামপুর দেবপুর গ্রামের গফুর বেপারীর মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে পাশের এলাকার ছোট দর্জী বাড়ির
মৃত নূর আলমের ছেলে সুমন মিজির বিয়ে হয়। সুমন বিয়ের পর থেকে পাশের বাড়ির ছলেমান মিজির মেয়ে তার আপন মামাতো বোনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জরিয়ে পরে। সুমনের মা মাফিয়া বেগম তার বোনর মেয়েকে প্রায় সময় খবর দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে ধান শুকানোর সহ বাড়ির অন্যান্য কাজ করাতো। সেই সুযোগে বখাটে সুমন তার মামাতো বোনের দিকে বদ নজর পরে। সুমন সেই মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেম করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। দুজনের পাপের কারনে মামাতো বোন ৭ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পরে।
সুমন মামাতো বোনের সাথে অবৈধ কাজ করার সময় তার স্ত্রী সুমি আক্তার বেশ কয়েকবার হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে সুমনের মা মাফিয়াকে জানালে সে
ছেলেকে কোন কিছু না বলে আরো প্রস্রয় দেয়। প্ররকিয়া প্রেমের ঘটনায় ৭ মাসের অন্তঃসত্বা বিষয়টি জানাজানি হলে
মেয়ের বাবা ছলেমান বাদি হয়ে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদে সুমনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দেয়। চেয়ারম্যান মামুন পাটওয়ারী অভিযুক্ত ছেলে সুমনকে চেয়ারম্যান কোটে আসার নির্দেশ দেয়। খবর পাওয়ার পরে সুমন গত ১৫ দিন পূর্বে বিষ খেয়ে আত্বহত্যার চেষ্টা করে।
পরে সুমনকে কুমিল্লার মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে না এসে স্ত্রী সন্তানের কোন খবর না রেখে অন্য জায়গায় পালিয়ে রয়েছে।
এদিকে ৭ মাসের অন্তঃসত্বা কিশোরী লোক লজ্জার ভয়ে তার বড় বোন সামছির শশুর বাড়ি ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া আত্নগোপনে রয়েছে।
অন্তঃসত্বা হওয়া কিশোরীর বাবা ছলেমান মিজি জানায়, আমার মেয়েকে তার খালা কাজের কথা বলে তাদের বাড়িতে খবর দিয়ে নিলে সেই সুযোগে সুমন জোড় করে মেয়েকে নির্যাতন করেছে। সে ৭ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পরেছে। আমি ও আমার মেয়ে শুধু আন্তঃসত্বা শিশুর স্বীকৃতী চাই। এই ঘটনায় এলাকার মানুষদের কাছে মুখ দেখাতে পারছিনা।
এদিকে সুমনের স্ত্রী সুমি জানায়, বাবা মারা যাবার পরে আমার সুখের কথা চিন্তা করে আমার মামা তার টাকা খরচ করে টিনের ঘর করে দিয়েছে। তার পরেও স্বামী সুমন তার মামাতো বোনের সাথে পরকিয়া প্রেম করে। তাদের বহু বার বলার পরেও তারা কারো কথা না শুনে এই ঘটনা ঘটায়। আমি এখন ২ সন্তান নিয়ে নিরুপায় হয়ে মানুষের কাছে বিচারের দাবিতে ঘুরছি। কে দেখবে আমার সন্তান,কে দেখবে আমায়, কি করবো তাই আমি ভাবছি।
এই ব্যাপারে রামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ পাটওয়ারী জানায়, এই ঘটনাটি জানার পর ধর্মীয় ও বাস্তবতার নিরিক্ষে সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ছেলের মা মাফিয়া বেগমের অসহযোগিতার কারনে ঘটনাটি মিমাংসা করতে পারছিনা।