স্টাফ রিপোর্টার:
বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী হযরত আলী (২৬) কে আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। হযরত আলী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের কীর্ত্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
সোমাবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক রনিসহ সঙ্গীয় ফোর্স হাজীগঞ্জ উপজেলার চেঙ্গাতলী বাজার থেকে তাকে আটক করে।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত হযরত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার সকালে নিহত মিতু আক্তার (২১) এর মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১২। মামলায় অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে।
এদিকে নিহত মিতু আক্তারের মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের মা রাবেয়া বেগম জানান, তার জামাতা হযরত আলী (২৬) বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে রক্তাক্ত অবস্থ্য়া তার লাশ দেখতে পাই।
রবিবার (২৩ জুলাই) রাতে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং কালচোঁ ইউনিয়নের বাজনাখাল চাঁদপুর গ্রামের বেপারি বাড়িতে রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবদুল মান্নান ও উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন।
জানতে চাইলে নিহতের মা রাবেয়া বেগম বলেন, আমার মেয়ের সাথে দুই বছর সংসার করেছিল হযরত আলী। এক বছর পূর্বে মেয়েকে তালাক দেয় সে। তালাকের কয়েক দিন পর সে আবারও বিয়ে করে। তারপর বাহরাইন চলে যায়। সেখানে গিয়ে মোবাইলে আমার মেয়ের সাথে আবার যোগাযোগ শুরু করে। মেয়েকে অন্য কোথাও বিয়ে বসতেও বারণ করেছিল।
তিনি আরও জানান, চারদিন আগে হযরত আলী বিদেশ থেকে বাড়ি আসে এবং রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যায়। বিকেলে মেয়ে জানায়, দুই বউকে নিয়ে সংসার করতে চান হযরত আলী। কোন সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রবিবার রাতে হযরত আলী ২/৩ জন লোক নিয়া বাড়িতে আসার কথা। রাত ৯টার দিকে মেয়ের মোবাইলে কল দিয়ে মিতুকে বাড়ির সামনে যাওয়ার জন্য বলে হযরত আলী। মিতু ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। একঘণ্টা পার হওয়ার পরও ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হই। হঠাৎ করে আমাদের টয়লেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় মিতুকে দেখতে পাই-জানান রাবেয়া।
নিহত মিতুর ভাই সুজন বলেন, ‘আমার বাবা নাই। আমরা গরীব। আমার বোনের হত্যাকারী হযরত আলী। ডেকে নিয়ে আমার বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।