শওকত আলী ॥
চাঁদপুরে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এ দেশে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এ দেশের ৭৫ভাগ মানুষ শরনার্থী হিসেবে ভারতে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে জীবন বাচাঁতে আশ্রয় নিয়ে ছিল। এ সব শরনার্থীদের মধ্যে এ দেশের ৭৫ ভাগ মানুষ আশ্রয় নিলেও তার মধ্যে সংখ্যালঘু পরিবার ছিল অনেক বেশি। সংখ্যালঘুদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল ৪০ ভাগ ও প্রান্তিক দলিত হরিজনের সংখ্যা ছিল ২০ ভাগ। বাকি ১৫ ভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ শরনার্থী হয়ে ভারতে গিয়ে ছিল। তবে এদেশের প্রান্তিক ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে আলাপ করে তারা জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা এ দেশের মানুষের উপরও বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বেশি নির্যাতন চালিয়ে ছিল। এ সব বর্বরোচিত নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এ দেশের হাজার হাজার মানুষগুলো দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এ সব রাজাকার, আলবদর ও পাক হানাদার বাহিনী এদের যুবতী, কিশোরী ও গৃহবধূদের সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে।তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ৩০ লক্ষ মা বোন। যাদের আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে এ দেশটি ১৯৭১ সালে ৯ মাসের যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন করেছিল এ দেশের মুক্তিবাহিনীরা। এ দেশের মানুষ শরনার্থী হিসেবে ভারতের আগরতলা, কলিকাতা, আসাম, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল এদেশের অসহায় মানুষেরা। এছাড়া অনেকে এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গভীর জঙ্গলের মধ্যে জীবন বাজি রেখে আশ্রয় নিয়ে ছিল বলে অনেক শরনার্থীর সাথে আলাপকালে জানা গেছে। শরনার্থী অবস্থায় এ দেশের হাজার হাজার মানুষ অনেক কষ্ট শিকার করে খেয়ে না খেয়ে বস্ত্র না পেয়ে জীবন যাপন করেছে। সে কষ্টের কথা বলতে গিয়ে অনেকে কেঁদে ফেলেন এবং জানান, সে সময়ের ভয়াবহ করুণ চিত্র, অবস্থা ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট আকাশ পাতাল পরিবর্তণ রয়েছে। অনেক শরনার্থী বলেছেন, তারা চাউল কিনতে না পেরে গমের সাথে চাউলের ক্ষুদ মিশিয়ে ভাতের মতো রান্না করে জীবন রক্ষা করেছেন। অনেক পরিবার একই কাপড় পড়ে দিনের পর দিন অতিবাহিত করেছে। অনেকে সারাদিনে ১বার খেয়েছেন আবার অনেকে ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত অনাহারে দিন কাটিয়েছেন বলে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অনেক পরিবারের শিশুরা শিশু খাদ্য না পেয়ে ও চিকিৎসার অভাবে জীবন পর্যস্ত হারাতে হয়েছে। অনেক শিশুর পরিবার পাক হানাদার বাহিনী, রাজাকার আলবদর বাহিনীর ভয়ে রোগে আক্রান্ত শিশুদেরকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে পর্যন্ত সাহস পাননি। এতে করে বিনা চিকিৎসায় শিশুদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। অনেক মা-বোনেরা যুদ্ধকালীন সময় গ্রামগঞ্জ থেকে শিশুদেরকে চিকিৎসা নিতে এসে ইজ্জত হারিয়েছেন ও অনেকের প্রান পর্যন্ত দিতে হয়ে ছিল পাক বাহিনীর হাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী জানান, তার সামনে তার যুবতী মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা পর্যন্ত হয়েছে। এ রকম জীবনের বর্ণনা অনেক নারীর কাছ থেকে পাওয়া যায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এদেশের যেসব সংখ্যালঘুরা তাদের আবাসন ও সম্পত্তি ফেলে গিয়েছিল, তারা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সে আবাসন সম্পত্তি ফিরে পায়নি। এদেশের প্রভাবশালীদের কাছে গিয়ে তারা তাদের সম্পত্তি দাবী করার সাহস পায়নি। অনেকে আবাসন ও সম্পত্তি দাবী করে নির্যাতনের শিকার ও মামলা জড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। যুদ্ধকালীন এদেশের সংখ্যালঘুদের আবাসন ও সম্পত্তি তারা ফিরে পাওয়ার পূর্বে সে সম্পত্তি এ দেশের প্রভাবশালী মুসলীম সংগঠনের লোকেরা দখল করে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে যায় বলে সংখ্যালঘুরা জানায়। এ সময় সংখ্যালঘুরা স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশ যখন স্বাধীন হয়ে যায়, তখনও তারা ভয়ে আতঙ্কে এ দেশে প্রবেশ করেনি। সংখ্যালঘুরা বিলম্বে এ দেশে এসে তাদের আবাসন ও সম্পত্তিতে আসার পর তারা সেই সম্পত্তিতে আর যেতে পারেনি। সরকারী-বেসরকারী কোন সংস্থা বা এদেশের রাজনৈাতিক নেতাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় তারা তাদের সম্পত্তি ফিরে পায়নি। অনেক সংখ্যালঘু এদেশের প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা করে তাদের সম্পত্তি ফিরে পেয়েছে বলে এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়। এতে করে তাদের অনেক হয়রানী হতে হয়েছে এবং অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে প্রচুর।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর রেলওয়ে হরিজন কলনীর শ্রী শ্রী মহাবীর রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বিধান চন্দ্র দাস হরিজন (জনি) বলেন, স্বাধীনতার সময় দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের চাঁদপুর রেলওয়ে হরিজন কলনীর যুদ্ধকালীন সময়ে অনেক বেশি ভয়ভীতি ও আতঙ্কে ছিলেন। এক পর্যায়ে সকলেই শরনার্থী ক্যাম্পের ভারতে গমনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নেয়। সে সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের চাঁদপুরে দায়িত্ব প্রাপ্ত মেজরের নির্দেশে অত্র এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। সে সময় হরিজনরা জীবন বাচাঁনোর জন্য তারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ও ততকালীন প্রকাশ্যে কাঁচা ময়লা পরিস্কার করতো এবং নিজেরকে বাংঙ্গী পরিচয় দিয়ে অর্থাৎ সুইপার বলে কিছুটা রক্ষা পায় এবং শতভাগের মধ্যে ২০ ভাগ শরনার্থী ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেয়।বাকি লোকেরা এ কলনীতে অবস্থান নেয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ লোক শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে ছিল। এছাড়া শরনার্থী শিবিরে এদের যে ৯০ ভাগ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে তাদের মধ্যে প্রান্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকের সংখ্যা ছিল ২০ ভাগ। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে থেকে হাতে হাত মিলিয়ে এদেশের পাক বাহিনীর দোসর ও ঘিন্নিত ব্যক্তিত্ব ও রাজাকার আলবদরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘুদের উপর চরম নির্যাতনসহ বিভিন্নভাবে নারীদের ইজ্জত লুন্ঠন করেছিল। যার ফলে তারা এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এরা তখন ভারতের সহযোগীতা পেয়ে ভারতের আগরতলায় ও কলকাতায় শরনার্থী ক্যাম্পসহ নিজেদের নিকট আত্মীয় স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়ে জীবন বাচাঁয়। শরনার্থী অবস্থায় এদেশের সংখ্যালঘুরা অত্যান্ত কষ্ট শিকার করে জীবন যাপন করেছেন। অনেকে তখন খাদ্য ও বস্ত্র সমস্যার অভাবে সঠিকভাবে জীবন যাপন করতে পারেনি। যুদ্ধ পরবর্তীকালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিশেষ করে দলিত হরিজনরা ফেলে যাওয়া আবাসন ও সম্পত্তি ফিরে পেতে অনেক কষ্টের সম্মুখিন হতে হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একেবারেই আবাসন ও সম্পত্তি পায়নি। হিন্দুদের মধ্যে ৭৫ ভাগ সংখ্যালঘু মানুষেরা তাদের আবাসন ও জমি-জমা একেবারেই পায়নি। এবং পেতে গিয়ে বরং পুনরায় নির্যাতিত হতে হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে এদেশে আর ফিরে আসেনি ও ফেলে যাওয়া জমি-জমার খোঁজ খবর রাখেনি। নিজস্ব আবাসনে ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে যুদ্ধ পরবর্তীকালে অনেক কিছুই আগের মতো ছিল না এবং অনেকের আবাসন দখল হয়ে গিয়েছিল আবার অনেকে নিজেদের আবাসন অন্যের দখলে থাকায় আবাসনে ফিরতে পারেনি। প্রান্তিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা যুদ্ধ পরবর্তী কালে এদেশের চরম অবস্থার কারণে তাদের সম্পত্তি ফিরে পেতে সরকারী বেসরকারী সংস্থা ও এদেশের মানুষের সহযোগীতা বেশিরভাগই পায়নি। যার ফলে তারা তাদের সম্পত্তি ফিরে পেতে সহযোগিতা আশা করতে পারেনি। এতে করে এদেশের সংখ্যালঘুরা নিজেদের বৈধ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আবার অনেকে এদেশের মুসলিমদের সহযোগীতা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা করে নিজ সম্পত্তি ফিরে পেয়েছে। তবে এতে তাদের অনেক কষ্ট শিকার করতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর শহরের হিন্দু, বৌদ্ধ, খিষ্ট্রান ঐক্যে পরিষদের নেতা ও চাঁদপুর জেলা ক্যাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জীবন কানাই চক্রবর্তী জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এদেশের সকল পর্যায়ের মানুষেরা তদের জীবন বাচাঁতে ও মা-বোনের উজ্জত রক্ষার্থে ভারতের শরনার্থী ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেয়। স্বাধীনতার সময় এদেশের রাজাকার, আলবদর বাহিনী পাক হানাদার বাহিনীকে সাথে নিয়ে এদেশের মানুষের উপর নির্যাতন চালায়। তারা রাজাকারের সহযোগীতায় রাতের আধারে ও প্রকাশ্যে দিবালোকে এ দেশের নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে এনে ধর্ষণ নির্যাতন চালায়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় প্রান্তিক সংখ্যালঘুরা তাদের আবাসন ও সম্পত্তি ফিরে পেলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুরা তাদের আবাসন ও সম্পত্তি ফিরে পায়নি। ফিরে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে নির্যাতিত হতে হয়েছে। বর্তমানে সে সম্পত্তি এদেশের প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পুরাণবাজার হরিজন যুব ক্লাবের সভাপতি শ্যামল হরিজন জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পুরাণবাজার হরিজন কলনীর হরিজনরা জীবন বাচাঁতে অনেকে ভারতের শরনার্থী ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আবার চাঁদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে আশ্রয় নেয় তাদের জীবন বাঁচানো ও নারীদের ইজ্জত রক্ষার জন্য। তখন পুরাণবাজারসহ চাঁদপুরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিঘœ সৃষ্ট হয়। তখন পুরাণবাজারের প্রভাবশালীদের অনুরোধে হরিজনরা পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে ফিরে এসে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে যোগ দেয়। তখন তাদেরকে পাক হানাদার বাহিনী বাংঙ্গী উপাদী দিয়ে হাতে লাল কাপড় বেধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সুযোগ করে দেয়। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুরা তাদের আবাসন ও সম্পত্তি ফেলে রেখে ভারতে শরনার্থী ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেয়। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতে চলে যাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫০ ভাগ মানুষ তাদের আবাসন ও সম্পত্তি ফিরে পায়নি। বাধ্য হয়ে তারা আবার ভারতে চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে পুনরায় জীবন-যাপন শুরু করে। অনেকে পুরাণবাজারে সম্পত্তি ও আবাসন পাওয়ার জন্য মামলা করলেও সম্পত্তি ও আবাসন ফিরে পায়নি। বরং তারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। পুরাণবাজারে বর্তমানে যে পরিমাণ জমি-জমা রয়েছে তার মধ্যে ৮০ ভাগই ছিল হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর হরিজন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিরা সরকার মুন্নার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চাঁদপুর স্বর্ণখোলা হরিজন কলনীটি ছিল শহরের বিপনীবাগ এলাকায়। তখন পাক হানাদার বাহিনী, রাজাকার ও আলবদরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রান্তিক সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা রাতের আধাঁরে পালিয়ে গিয়ে ভারতের শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। সেখানে তারা যুদ্ধ চলাকালীন ৯ মাস অতিবাহীত করে। যুদ্ধকালীন সময় তাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যারা চাঁদপুরে অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে ব্যাপক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। অনেক পরিবারের সুন্দরী কিশোরী, যুবতী ও গৃহবধূদেরকে জোর করে তাদের ঘর থেকে পাক হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সহযোগীতায় উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং নির্যাতন-ধর্ষণ চালায়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এদেশের প্রান্তিক সংখ্যালঘুরা অনেকেই তাদের আবাসন ও সম্পত্তি ফিরে পায়নি। তারা তৎকালীন সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়ে ও রাজনৈতিক চাপের কারণে তাদের আবাসন সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারেনি। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা ভারতের শরনার্থী ক্যাম্পে গিয়েছে তাদের মা-বোনেরা ইজ্জত বাঁচাতে পেরেছে। তবে স্বাধীনতার পরে হিন্দু সংখ্যালঘুরা চাঁদপুর নতুন বাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে যেমন, আদালত পাড়া, ঘোষ পাড়া, মুন্সেফ পাড়া, পাল পাড়া, প্রত্যাশা বাড়ি রোডসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি ফিরে পায়নি। সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য তারা দীর্ঘ কয়েক বছর চেষ্টার পর উদ্ধার করতে না পেরে পুনরায় ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
মোহাঃ শওকত আলী, জেলা প্রতিনিধি,
আলোকিত বাংলাদেশ, ও শারি’র দলিত এন্ড
মাইনরিটি হিউম্যান রাইটস মিডিয়া ডিফেন্ডার ফোরামের সদস্য।