শওকত আলী॥
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, কচুয়া, গৌরিপুর, সাচার, মতলব পেন্নাই সড়কসহ সবকটি সড়কে দীর্ঘদিন যাবত সড়কের নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এতে করে বছরের পর বছর এ পথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ চরম দুর্ভোগের মধ্যে ও আতঙ্কে প্রতিদিন যাত্রীদের যাতায়াত করা ছাড়া কোন উপায় নেই। যারফলে এ সব সড়কে এ পর্যন্ত অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটে, প্রাণহানি ঘটেছে অসংখ্যবার। বর্তমানে এ পথের যাত্রীরা আতঙ্কের মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। ফলে এ পথের যানবাহনগুলো লক্কর ঝক্কর অবস্থানে গিয়ে পৌচেছে। যানবাহনের মালিক ও চালকরা ভয়াবহ এ অবস্থার মধ্য দিয়েও তাদের যানবাহন এ পথে চালনা করছে। এসব রাস্তাঘাট ও সড়কের এ বেহাল দশার পেছনে ঠিকাদারকে দায়ী বলে মত প্রকাশ করেছেন সচেতন এলাকাবাসী। তারা নিম্নমানের কাজ করায় কাজের কয়েক মাস পর থেকেই সড়কের সুরকি, পাথর ও পীচ ঢালাই উঠে গিয়ে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। মহা সড়কে এসব খানা খন্দের কারনে যাত্রীরা নৃত্যদিন কষ্ট স্বীকার করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ এসব ঠিকাদারকে সড়ক নির্মাণ কাজ করার সময় সঠিক তদারকি না করায় তারা কাজের সিডিউল মোতাবেক নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ না করে নিজেদের ইচ্ছামত কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা নিয়ম বহির্ভুতভাবে কাজ করায় সামান্য বৃষ্টিপাত ও পানি পড়া মাত্র সড়কের ভিটোমিন উঠে গিয়ে রাস্তা অল্প সময়ে তার স্থায়ীত্ব হারাচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গর্ত ও খানা খন্দের কারণে এ সড়কের যানবাহন নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। অপরদিকে কচুয়া-গৌরিপুর-কচুয়া-সাচার-কচুয়া, সাচার-বড়দৈল-নারায়নপুর-মতলব-পেন্নাই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়ক ত বিত অবস্থায় রয়েছে। এতে করে প্রতিদিন জীবন হাতে নিয়ে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে। চাঁদপুর শহরের চাঁদপুর পুরাণবাজার ব্রীজ সংলগ্ন সড়ক, পুরাণবাজার রয়েজ রোড, কলেজ রোড, নিতাইগঞ্জ সড়ক, বাকালিপট্টি, বাতাসাপট্টি সড়কসহ কয়েকটি সড়কের নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া শহরের নতুনবাজার ট্রাকরোড, রহমতপুর কলোনী, প্রফেসর পাড়া, শহরের বড় স্টেশন সড়ক, নিশি বিল্ডিং সড়ক, মাদ্রাসারোড বিকল্প লঞ্চঘাটসহ অসংখ্য সড়কে গর্তে ও খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর কুমিল্লাসহ বিভিন্ন সড়কের চালকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, তারা সড়কের গর্তে ও খানা খন্দের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে যানবাহন চালাচ্ছেন। চাঁদপুর-কুমিল্লা বোগদাদ এক্সপ্রেসের (ঢাকা মেট্রো ভ-১৪৯৮৪১) ডাইভার নুরুল জানান, এ সড়কে বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের গর্তের কারণে যাত্রীরা যেমন আতঙ্ক থাকতে হয় তেমনি ড্রাইভাররাও ঝুকির মধ্যে যানবাহন চালাতে হয়। সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্থ হয় গাড়ির পিছনে থাকা যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুভ্রত দত্তের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগকালে তিনি বলেন, চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের মুদাফফরগঞ্জ ও চাঁদপুর রায়পুর সড়কে বিভিন্নস্থানে যেসব গর্ত রয়েছে, সেসব সড়কে ডিপার্টমেন্টের গাড়ি, লোকবল ও মালামাল দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঈদ উপল্েয যাত্রীদের যাতাযাতের সুবিধার জন্য তরিৎ কাজ করে যাচ্ছি। যেন যাত্রী নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে।