চাঁদপুরে হাইস্পীড কোম্পানীর টি- টেকনাফ তেলের জাহাজের মাষ্টারের হামলায় একই জাহাজের লস্কর ফরহাদ মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিস্যাধীন রয়েছে ।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে শহরের কয়লাঘাট এলাকার পদ্মা অয়েল ডিপোর সামনে ।স্থানীয় লোকজন ও নৌকার মাঝিরা লস্কর ফরহাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিস্যার জন্য নিয়ে আসে ।বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিস্যাধীন রয়েছে ।
হাসপাতালে চিকিস্যাধীন জাহাজের লস্কর ফরহাদের ( ২৮) সাথে আলাপকালে জানায় ,কোম্পানী জাহাজ থেকে চাঁদপুরে পারাপারকারী নৌকার জন্য ১৫ লিটার করে তেলের বরাদ্ধ দিয়েছেন ।সে অনুযায়ী গতকাল সকালে নৌকার মাঝিকে পাওনা তেল সহ এই সপ্তাহের তেল দেই । নৌকায় তেল দেয়ার পরই জাহাজের সুপারভাইজারকে আমি ঘটনাটি জানাই ।এর কিছুক্ষন পরেই জাহাজের মাষ্টার শাহাবুদ্দিন আমাকে ডাক দিয়ে নিয়ে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করে জাহাজের পাইপ দিয়ে আমাকে বেদড়ক মারধর করেন ।তার সাথে আরো কয়েকজন আমাকে মারধর করে । একপর্যায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি । কিছুক্ষন পর আমার জ্ঞান ফিরলে মাষ্টার সহ আরো কয়েকজন আমাকে এ বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য বলেন,আর না হলে তারা আমাকে নদীতে বেধে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে আমি কান্নাকাটি করলে পাশের জাহাজের লোকজন স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে আমাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করায় ।আমি এই কোম্পানীতে ৪ বছর ধরে চাকুরি করছি ।দেড় মাস আগে মাস্টার জাহাজে চাকুরি নেন । উনি আসার পর থেকেই সে জাহাজের নিচু পর্যায়ের শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরন কর্ েযাচ্ছে । আমার পরিবারের পক্ষ থেকে চট্রগ্রামে কোম্পানীর স্যারদেরকে জানিয়েছেন ।
হামলার ব্যাপারে হাইস্পীড কোম্পানীর চট্রগ্রাম বিভাগের ডিজিএম অপারেশন কামরুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি ঘটনাটি শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন ।প্রথমেই তিনি বলেন জাহাজে কোন শ্রমিককে মারধরের জন্য মাষ্টার নিয়োগ দেয়া হয়নি ।লস্করের সাথে যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে ।মাষ্টারের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ শুনেছি ।তো ভাই ঘটনাটি তদন্ত করবো । আপনার পত্রিকায় লেখালেখি কইরেন না ।
জাহাজের সুপারভাইজার নিজামউদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান,লস্কর জাহাজের নিয়ম অনুযায়ী নৌকার মাাঝিকে তেল দিয়েছেন। এজন্য মাস্টার তাকে মারধর করেছে , এটা খুব অন্যায়। ঘটনাটি আমরা আমাদের উদ্ধতন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি ।
জাহাজের মাষ্টার সাহাবুদিনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় দিলেই উনি রেগে উঠেন। তিনি বলতে থাকেন জাহাজে থাকা এক চোরকে পিটিয়েছি , এটা আমাদের ব্যাপার । সাথে সাথে চট্রগ্রামের ডিজিএমকে মাষ্টারে আচরনের কথা জানানো হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন ।জাহাজের মাষ্টারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আর কোন কথার জবাব দেননি ।
চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিস্যক ডাঃ নাজমুল হকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান , শ্রমিকটিকে বেদড়ক মারধর করা হয়েছে ।তার বুকে এবং হাতে প্রচন্ড চোঠ পেয়েছে ।তাকে আমরা চিকিস্যা দিচ্চি ।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৮ মে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ , ১৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।