বিদ্যার্চনায় দেবী সরস্বতী পূজা আনন্দঘন পরিবেশে চাঁদপুরে উদ্যাপিত হয়েছে। এবছর মাঘমাসী পঞ্চমী তিথি বিশূদ্ধ পঞ্জিকা হিসেবে দু’দিন পড়ে যাওয়ায় সরস্বতী পূজা দু’দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার অনেকেই সরস্বতী পূজা উদযাপন করেছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পঞ্চমি তিথি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিদ্যাদেবীর আরাধনা করতে ভোররাত ৪টা থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা সরস্বতী পূজা অর্চনার জন্য সবচেয়ে বেশী ব্যস্ত ছিল। তারা পূজার আয়োজন করতে ভোররাত থেকেই শীত উপেক্ষা করে ¯œান শেষে পূজার আয়োজনে মেতে উঠে। সরস্বতী পূজা হলো বিদ্যাংদেবীর আরাধনা। তিনি সাদা মনের মানুষ আর জ্ঞানের দেবী। তাই সরস্বতী পূজাটা শিক্ষার্থীরাই সবচে’ বেশী করে থাকে। বিদ্যা-বুদ্ধিতে জ্ঞান অর্জনের আরাধনা করে থাকেন শিক্ষার্থীরা। চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার ও পুরাণবাজার এলাকায় প্রায় দু’শতাধিকের বেশি স্থানে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিদ্যাদেবীর চরণে কপাল ঠুকে আরাধনা করে। সকাল ৬টা থেকে শহরের পূজাম-পগুলোতে অঞ্জলী নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলো নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোররা। সকাল থেকে চাঁদপুর নতুনবাজার শ্রী শ্রী কালীবাড়ি মন্দিরে ভক্তের সমাগম ঘটতে থাকে। সকাল ৮টায় এ মন্দিরে সরস্বতী পূজার অঞ্জলী অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির প্রাঙ্গন জুড়ে সনাতনীরা মায়ের চরনে মাথা রেখে অঞ্জলী গ্রহণ করে। একই সময়ে অঞ্জলী অনুষ্ঠিত হয় শ্রী শ্রী গোপাল জিউর আখড়া মন্দির ও চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গণে। সেখানেও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যাদেবীর কাছে আরাধনা করে অঞ্জলী গ্রহণ করে। সন্ধ্যার পর থেকে শহরে নামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ঢল। তবে বিগত বছরের তুলনায় লোকসমাগম ছিল অনেকটা কম। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির জন্য ও যানবাহন চলাচল না করায় চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ শহরে আসতে পারেনি। তাছাড়া শহরের বর্তমান পরিস্থিতি পূজারীরা ছিলো অজানা এক আতঙ্কে। যার ফলে পূজার আয়োজকরা নিরানন্দের মাঝে পূজার কাজ সম্পন্ন করেছে। এ বছর তেমন নেই কোনো বাদ্যযন্ত্রের ও ইকোসেটের উচ্চস্বরে শব্দ। দেখা যায়নি পেন্ডেলগুলোতে আলোকসজ্জা ও ডেকোরেটরের নৈপূর্ণ কাজ। নামমাত্র পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবছর। আজ সোমবার সরস্বতী পূজার আনন্দ শোভাযাত্রা দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে চাঁদপুর শহরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।