ফহিম শাহরিন কৌশিক খান ॥
চাঁদপুরে অপরাধ জগৎ এর আরেক ঠিকানা জে এম সেনগুপ্ত রোডের পুরবী মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত হোটেল শেরাটন। মাদক সেবন, ইয়াবা বিক্রি, সুন্দরী যুবতী ও ভাসমান পতিতাদের হোটেলে এনে অনৈতিক কার্যকলাপসহ বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনা সংগঠিত করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন বহিরাগত থেকে আসা স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ও প্রবাসীর স্ত্রীরা পুরবী মার্কেটে এসে মার্কেটিং করার নামে প্রেমিকদের সাথে নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ওঠে হোটেল শেরাটনের ক ভাড়া নিয়ে আনন্দ ফূর্তিতে মেতে উঠে। এছাড়া চাঁদপুরের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এই হোটেলে উঠে মাদকের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীগের কাছে পাইকারী মাল বিক্রিয় করে। তেমনি গত মঙ্গলবার রাত ২টায় মডেল থানার এসআই ফিরোজের নেতৃত্বে এএসআই সেলিম সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে ঘোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোটেল সেড়াটনে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা সহ সাখাওয়াত হোসেন মাছুমকে গ্রেফতার করে। পুলিশ হোটেল সেরাটনের ১১৫ নং ক তল্লাশি চালিয়ে ১০ পিচ ইয়াবা ও বিপুল পরিমান ইয়াবার সড়ঞ্জাম সহ বাংলাদেশে নিষিধ্য ঘোষিত চোড়াই ২৫০ সিসির পালসার মটরসাইকেল জব্দ করে। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ হোটেলে উঠার পর হোটেল ম্যানেজার মতলব উত্তোরের কাকন কৌশল কাটিয়ে হোটেলে থাকা পতিতা খদ্দরদের পিছনের সিড়ি দিয়ে নামিয়ে দেয়। হোটেল সেড়াটনে উঠার সামনে দু’টি ও পিছন দিয়ে দু’টি সিড়ি রয়েছে। তাই পুলিশ অভিযান করলেও প্রকৃত আসামীরা বেরিয়ে যেতে সম হয়। চাঁদপুরে হোটেল আকবরীর মত করে সেরাটন হোটেলে পতিতা ব্যবসা জমজমাট হওয়ার পরেও তা জেনে পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে ব্যার্থ। কারণ সম্প্রতিকালে হোটেল সেরাটনে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও নতুন বাজার ফাঁড়ি পুলিশ অভিযান করে পতিতা খদ্দর সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করার পর তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলের নাম ধারী কিছু নেতা তগদীর চালায়। এছাড়া এই সকল নাম ধারী নেতারা দলের ভাবমূর্তি ুন্ন করে অপরাধকে পশ্রয় দিয়ে দিনেরপর দিন হোটেল সেরাটনের মালিক পদের ও অপরাধীদের কাজ করতে পশ্রয় দিচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে মডেল থানা পুলিশ হোটেল সেড়াটন থেকে মেথা রোডের সৈয়দ আহমদের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন মাছুম (৩৬) কে গ্রেফতার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ৫৫, তারিখ- ২২/১০/২০১৪ইং। গত কাল বুধবার আটক কৃত মাছুমকে পুলিম আদালতে প্রেরণ করলে তার জামিন না কোচ করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গির সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় হোটেল সেরাটনে মাদকের ঘটনা তদন্ত করতে যায়। এসময় হোটেলের ২নং কে দুই সুন্দরি যুবতীর সাথে অনৈতিক কাজ করার সময় পুলিশ দেখতে পেয়ে খদ্দর সহ কয়েকজনকে আটক করে। আটকের খবর শুনে সেই নামধারী রানৈতিক দলের কয়েকজন নোতা ও হোটেল কর্তৃপকে সেলটার দাতা কয়েকজন এসে পুলিশের সাথে হট্টগোল শুরু করে। কেন হোটেলে এসে এভাবে তাদেরকে গ্রেফতার করল তার জবাব চায়। তারা পুলিশর সাথে ব্যাপক বাগ বিতন্ডে লিপ্ত হয়। পুলিশ উপস্থিত থাকা কালে আরো কয়েকজন পতিতা খদ্দর হোটেলের কে প্রবেশ করার পর হোটেল ম্যানেজার কৌশল খাটিয়ে ফাস্ট ফুডের দোকানে যুবক যুবতী অনৈতিক কাজ করছে বলে সেখানে পাঠায়। ওই সুযোগে হোটেলে থাকা পতিতা খদ্দর ও মাদক সেবীদের বিকল্প সিড়ি দিয়ে নিচে নামিয়ে দেয়। এভাবেই হোটেল সেরাটনে একের পর এক অনৈতিক কার্যকলাপ ও অপকর্মের ঘটনা ঘটলেও মূল অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। একটি সূত্র জানায়, পুরবী মার্কেটের মূল মালিক গুয়াখোলার ডুবাই প্রবাশী জামাল মোল্লা। হোটেলটি পূর্বে পুরবী হোটেল থাকলেও বর্তমানে তা মতলবের অলি দেওয়ান, চাঁদপুরের আরিফ ও নূরুসহ ৩ পাটনারে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বিনীময়ে ভাড়া নিয়ে তার নাম পরিবর্তন করে রাখে হোটেল সেরাটন। তারা ৫ ল টাকা এডভান্স নিয়ে উচ্চ হারে ভাড়া দেওয়ার কারনে এলাকার সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক দলের নাম ধারী নেতাদের টাকার বিনীময়ে হাত করে এভাবে দিনের পর দিন সকল অপকর্মের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। সচেতন মহলের অভিমত হোটেল সেরাটনের এই সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করলে কমে যাবে অপরাধ প্রবনতা।