স্টাফ রিপোর্টার:
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ চাঁদপুরের নদীগুলো উত্তাল হয়ে ওঠেছে। ইতোমধ্যে চাঁদপুরে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত প্রদান করা হয়েছে। এর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বিকেল ৪টা থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা, মতলব ও হাইমচর চরাঞ্চলের প্রায় ৪০ হাজার মানুয আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। এ ছাড়া ও ১০৬ টি কেন্দ্রের অধিকাংশ কেন্দ্রেই মানুয নিরাপদে থাকার জন্য আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ।তিনি আরো জানান,, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় শুক্রবার থেকে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি রেখে।
ৎ
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবিলায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের প থেকে ব্যাপক সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ থাকার বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে চাঁদপুরের চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের শুকনো খাবার ও অতি প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রি না করার জন্য সাময়িকভাবে বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস ও হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল হক জানান, চাঁদপুরে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে । ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার দিনভর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ‘
এদিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় চাঁদপুরের ১০৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে চাঁদপুর সদরের ২২টি এবং হাইমচরের ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চাঁদপুর সদরে ২৪ হাজার এবং হাইমচরে ৮ হাজার মানুষকে আশ্রয় নিতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে জেলার চরাঞ্চলগুলোতে এবং শহরে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগে আহতদের সেবা দিতে ৯২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।