শহর প্রতিনিধি=
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী ১৮ দলীয় জোটের রেল-নৌ ও সড়ক পথ অবরোধ কর্মসূচির ৫ম দিন গতকাল ১১ ডিসেম্বর বুধবার চাঁদপুর জেলা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট চাঁদপুুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এছাড়া নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে, কলেজ গেইট, ষোলঘরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রিক্সা ও অটোরিক্সা ভাংচুর করেছে। এছাড়া শহরের বড় স্টেশন এলাকার আক্কাছ আলী রেলওয়ে একাডেমীর সামনে সকাল সাড়ে ৯টায় এ ৩টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। এ সময় সাধারণ পথচারীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে।
সকাল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও ১৮ দলীয় জোটের শরীক জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে জড়ো হয়। তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করে। তবে ছাত্রশিবির কর্মীরা এই স্থানে সবচেয়ে বেশি পিকেটিং করেছে। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামান, আক্তার হোসেন মাঝিসহ ১৮ দলীয় জোটের শতাধিক নেতা-কর্মীর সমন্বয়ে অবরোধ সমর্থনে একটি বড় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তা শেষ হয়। মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান গাজী, যুব বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস আলম বাবু, জেলা যুবদল সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চান্দু, শহর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বেপারী, যুগ্ম আহ্বায়ক দ্বীন মোহাম্মদ জিল্লু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সদর থানা জামায়াতের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডঃ শাহাজাহান মিয়া, সেক্রেটারী অধ্যাপক আরিফুল্লাহ, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তফা কাউছার, সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেনসহ অন্যান্যরা।
অপরদিকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এতদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল কোর্ট স্টেশন প্লাটফর্ম ও বাসস্টেশন এলাকায়। কিন্তু গতকাল বুধবার জেলা ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ ইব্রাহিম জুলেয়ের পক্ষের নেতা-কর্মী ছাড়া আর তেমন কোন নেতা-কর্মী ঐ এলাকায় দেখা যায়নি।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।