মুহাম্মদ মাসুদ আলম: ২১তম জাতীয় টিকা দিবস ও হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে চাঁদপুরের সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে সিভিল সার্জন চাঁদপুর। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং-এ চাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবার সফলতা ও হাম-রুবেলা সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে স্লাইড প্রদর্শনের মাধ্যমে ধারণা প্রদান করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মনির। তিনি বক্তব্যে বলেন, যে কোন রোগের মা হচ্ছে হাম রোগ। এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে সচেতন হতে হবে। ২০০০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয়েছে। ২০১৪ সালে পোলিও ফ্রি স্টাটাস পাবে বাংলাদেশ এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলে ২০১৬ সালে হাম ও রুবেলা মুক্ত হবে দেশ।
সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ এ.এস.এম. আঃ ছাত্তার মিয়া। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জীবন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দের প্রশ্নের উত্তর ও বিস্তারিত আলোচনা করেন সিভিল সার্জন।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা, ৯২টি ইউনিয়নের ২৭৬টি ওয়ার্ডে ২১তম জাতীয় টিকা দিবস উপলক্ষ্যে ১ম রাউন্ডে ২১ ডিসেম্বর শনিবার চাঁদপুর জেলায় ০-৫বছর বয়সী ৩লাখ ৬২হাজার ৩শ’ ৬০জন শিশুকে দুই ফোটা ওপিভি টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কাজে ১২হাজার ২শ’ ৫জন ভলেন্টিয়ার কাজ করবেন। ২য় রাউন্ডে ২৫-৩০ জানুয়ারী এবং ১-১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ তারিখে ২টি পর্যায়ে স্কুল ও কমিউনিটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৯মাস থেকে ১৫বছর বয়সী সকল শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা এবং ০-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে দুই ফোটা ওপিভি টিকা অর্থাৎ সর্বমোট ৯লাখ ১হাজার ৮শ’ ১জন শিশুকে টিকা খাওয়ানোর জন্য লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারণ করা হয়েছে।
এসব ক্যাম্পেইনে ভলেন্টিয়ার এমআর ১৫হাজার ৬শ’ ৬৬ এবং ভেক্সিনেটর এমআর কাজ করবেন ১০হাজার ৪শ’ ৪৪জন। সর্বমোট ভেক্সিনেটর সাইট হচ্ছে ২হাজার ৪শ’ ৪১টি। ফিক্স সাইড ৯, আউটার সাইট ২হাজার ২শ’ ৮২, এডিশনাল সাইট ১শ’ ২০টি এবং মোবাইল টিম কাজ করবে ৩০টি। হাম-রুবেলার সর্বমোট ক্যাম্পেইন সাইট হবে ৫হাজার ২শ’ ২২টি এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ২হাজার ৯শ’ ৩১টি এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ২হাজার ২শ’ ৮২টি। এসব কাজ তত্ত্বাবধানের জন্য সুপার ভাইজর হিসেবে কাজ করবেন ৪শ’ ১৫জন।
রুবেলা রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে সিভিল সার্জন বলেন, একজন মাকে অব্যশই গর্ভধারণ করার পূর্বে রুবেলার ভেকসিন গ্রহন করতে হবে। কারণ গর্ভধারনের পর ৩মাসের মধ্যেও কোন মায়ের এ রোগ ধরা পড়লে তার শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম হওয়ার সম্ভবান বেশী থাকে। সরকারের পাশাপাশি বিগত দিনের মত আগামী কর্মসূচী বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন সিভিল সার্জন। প্রেসব্রিফিং এ চাঁদপুরে স্থানীয় পত্রিকা ও মিডিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিরোনাম:
শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।