প্রতিনিধি
চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয় ৪১টি। এসব মামলার আসামি প্রায় ১০ হাজার। তবে বেশির ভাগ আসামিই জামিনে আছেন।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয় ও আদালত সূত্র জানায়, মামলাগুলোতে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, রেল ও সড়কপথে অগ্নিসংযোগ, সড়ক অবরোধ, গাছ কাটা, বোমা বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে চাঁদপুর মডেল থানায় নয়টি, হাজীগঞ্জ থানায় ১১টি, ফরিদগঞ্জ থানায় ১২টি, মতলব দক্ষিণ থানায় সাতটি ও কচুয়া থানায় দুটি মামলা হয়। বেশির ভাগ মামলার বাদী পুলিশ।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চাঁদপুর সদরে পুলিশ ও বিজিবির গুলির দুই ঘটনায় তিনজন নিহত হন। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডের শিল্পকলা একাডেমীর সামনে ১৮ দলের মিছিলে পুলিশ পেছন থেকে গুলি চালায়। এ সময় চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রদলের কর্মী মো. তাজুল ইসলাম (২১) ও চাঁদপুর আল-আমিন মডেল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সিয়াম হোসেন (১৪) নিহত হয়। এই ঘটনায় ওই দিনই চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি ও জামাত-শিবিরের ৩৫০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করে।
গত বছরের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া এলাকায় বিজিবির গুলিতে যুবদলের কর্মী ফারুক হোসেন পাটওয়ারী (৩২) নিহত হন। এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ২৫০ জনের বিরুদ্ধে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন মামলা করেন। বিএনপির দলীয় মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মো. শামছুল ইসলাম মন্টু জানান, এসব মামলা বর্তমানে চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।