চাঁদপুরে অপহৃতা লেডিপ্রতিমা স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী পিংকি(১৫) অপহরনের ৪ দিন পর উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। বুধবার ভোরে শহরের মমিনপাড়া মুন্সীবাড়ী থেকে স্কুল ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় পুলিশ অপহরনকারী আলআমিনের দুলাভাই সুমন বেপারিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দুলাভাইকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য থানায় আসলে আলআমিনকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় পর পিংকির মা বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে মূল আসামী আলআমিনকে পুলিশ আদালতে প্রেরন করে। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরন করে। গত শনিবার রাত ৮টায় তার বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রী নিখোজ হওয়ার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানোর পর অবশেষে তাকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়,শহরের টিলাবাড়ি এলাকার মৃত বিল্লাল প্রধানের ছেলে বিবাহিতা বখাটে যুবক আল-আমিন স্কুল ছাত্রী পিংকিকে অপহরন করে সাভারের নবীনগর এলাকায় তার ফুফুর বাড়িতে নিয়ে যায়। তাকের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় পিংকি ও আলামিনকে আটক করে মুঠোফোনে পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানায় এলাকাবাসি। ঘটনা জানতে পেরে চাঁদপুর মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকির অপহৃতা স্কুল ছাত্রী পিংকিকে উদ্ধার করার জন্য আলআমিনের দুলাভাই সুমন বেপারীকে বিকাশে ৫০০ টাকা দিয়ে তাদের চাঁদপুরে নিয়ে আসার জন্য বলেন। পরে দুলাভাই সুমন অপহৃতা স্কুল ছাত্রী পিংকি ও আলআমিনকে সাথে নিয়ে চাঁদপুরে আসে। পুলিশ খবর পেয়ে মমিনপাড়া এলাকায় অভিযান করলে মূল হোতা আলআমিন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ স্কুল ছাত্রী পিংকিকে উদ্ধার করে দুলাভাই সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দুলাভাইকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আলআমিন থানায় আসলে পুলিশ তাকে আটক করে। অপহৃতা স্কুল ছাত্রী জানায়, ঘটনার দিন রাতে কয়লাঘাট এলাকার তাদের পাশের বাসার আকাশ, নবীন ও গুয়াখোলার সুজন বাসা থেকে ডেকে এনে আলআমিনের হাতে তুলে দেয়। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাতে মিতালী লঞ্চ যোগে ঢাকা এনে সিএনজি যোগে সাভার নবীনগর এনে আলআমিনের ফুফুর বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে রেখে আলআমিন বেশ কয়েকবার ধর্ষন করে। পরে এলাকার মানুষ বুঝতে পেরে তাদের পরিবারের কাছে জানালে দুলাভাই এসে চাঁদপুর নিয়ে আসে।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।