মিজান লিটন ॥
চাঁদপুরের ৫ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর মিলে মোট ৩শ’ ১৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাই শেষ হয়েছে। গত ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শনি ও রোববার এসব মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাই করেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ।
দু’দিনের যাচাই-বাচাই পর্বে মেয়র পদে ৪, কাউন্সিলর পদে ১১ ও ১ নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এসব পৌরসভা গুলো হলো- কচুয়া, হাজীগঞ্জ, মতলব, ছেঙ্গারচর ও ফরিদগঞ্জ।
এদিকে স্বতঃফুর্তভাবে মাঠে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। যার যার এলাকার ভোটারদের সাথে নিরব যোগাযোগ রক্ষা করছেন তারা।
একাধিক ভোটার জানান, ‘প্রার্থী যেই হোক, যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হলে তাকেই ভোট দেবো। এলাকার উন্নয়নে যারা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ও আমাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবে এমন প্রার্থীকেই আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে পেতে চাই।’
এসব এলাকার ভোটারদের বক্তব্যে জনপ্রতিনিধিদের ওপর আকাংখার বিষয়গুলো সু-স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের মতে এবার প্রথম বারেরমত দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি উভয় দলেরই মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু ভোটারদের চাওয়া হচ্ছে পৌর নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়ে আসবে তারা তাদের পুরনো কাজগুলো বিশেষ করে উন্নয়মূলক কর্মকান্ডের প্রতি দৃষ্টি দেবে।
শুক্র ও শনিবার চাঁদপুরের পৌর এলাকা ৫ উপজেলার মধ্যে হাজীগঞ্জ ও মতলব পৌরসভায় দেখা যায়, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধ এখনো না হওয়ায় প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের কর্মী-সমর্থকরাও কিছুটা মাঠ পর্যায়ে ঢিলেঢালা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে এবার প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস কেন্দ্রীক প্রচারণা তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। কোনো কোনো প্রার্থী নির্বাচনী অফিস করলেও তেমন একটা জমজমাট দেখা যায়নি।
প্রচারণায় ব্যবহৃত কর্মী-সমর্থকরাও জানায়, প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হলেই আমরা দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়বো।
এবার নির্বাচন নিয়ে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে নারী ভোটারদের মাঝে। তবে পূর্বের কয়েকটি নির্বাচনের বিষয় স্মরণ করে কিছুটা আশংকার কথাও প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশ্ন ভোট দিতে পারবো তো?
এ ব্যপারে হাজিগঞ্জ মধ্যবাজার এলাকার নাজমা আলম নামে এক নারী ভোটার জানায়, ‘অনেকের কাছ থেকেই শুনেছি ভোট কেন্দ্রে নাকি নিজের ভোট দেওয়া খুবই কষ্টকর। আমি আশা করি এবার আমরা সুন্দর পরিবেশে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবো।’
কয়েকজন প্রার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছি। আগামী ১৩ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে প্রতীক এলে জোরালোভাবে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়বো
এসর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা মো: জয়নাল আবেদীন বলেন, যাচাই বাচাই শেষে সকল মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। মূলত প্রার্থীরা আগের থেকে এ নিয়ে বেশি সচেতন হওয়ার কারনে মনোনয়ন পত্রে ভুল ক্রটি পাওয়া যায়নি। যার ফলে সকল মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাতিল ও স্থগিতকৃত প্রার্থীরা অভিযোগ থাকলে আজ ও আগামী কালের মধ্যে নির্বাচন কমিশন আইনের যথাযথ বিধি অনুসরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।