শওকত আলী:
চাঁদপুর শহরের জনবহুল এলাকা মমিন পাড়ায় প্রায় ৫ হাত লম্বা ও ৭ ইঞ্চি মোটা একটি বিষধর গোখরো সাপ কে কমিউনিটি পুলিশ ও এলাকাবাসী ব্যাপক চেস্টা চালিয়ে মেরে ফেলেছে। গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৩টায় মমিন পাড়ার ৫তলা বিশিস্ট ভবন নূরজাহান ভিলার নীচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃস্টি হয়।
কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা জানায়, তারা ডিউটি করছিল হঠাৎ দেখতে পায় মঙ্গলবার রাত সারে ১১টায় মমিন পাড়া এলাকার খান বাড়ির কবরস্থান থেকে গোখরো সাপটি বেড় হয়ে রাস্তা পাড় হয়ে নূরজাহান ভিলায় (সাংবাদিক শওকতআলীর বোনের বাসায়) প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির মালিক মো: সাইফুল ইসলাম শাহেদ ও এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারে। তারা লাইটের আলো জ¦ালিয়ে দেখতে পায়,বিষধর সাপটি দেওয়ালের পাশে ভাংঙ্গা টাইলস ও পাথরের উপর তিন পেচ দিয়ে বসে আছে। এ খবর ছরিয়ে পড়লে ৫তলা বিল্ডিংয়ে ও এলাকায় আতংকো ছড়িয়ে পরে। মানুষ এসে জড়ো হয়ে দুর থেকে সাপটি প্রত্যক্ষ করতে থাকে। সাপটি ফাঁনা উঠানো ও শোঁ-শোঁ আওয়াজে এলাকাবাসী আতংকো গ্রস্ত হয়ে পড়ে। সাপটি দুই দেওয়ালের মাঝখানে আটকা পড়ে,চক্ষু-মাথা লাল বর্ন হয়ে রেগে যায়। এলাকার যুবকরা ভয় পেয়ে একবার মারার পক্ষে আবার মত পাল্টে যায় না মারার জন্য। কেহ টেটা আবার কেহ জাল দিয়ে আটকে মারার পরিকল্পনা নেয়। কেহ সাপটি মারতে সাহস পাচিছল না। প্রায় ৩ঘন্টা ব্যাপক পরিকল্পনা ও চেস্টা চালিয়ে রাত সোয়া ৩টায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাড়ির মালিক মো: সাইফুল ইসলাম শাহেদ,কমিউনিটি পুলিশ অঞ্চল-৫ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও শওকতআলী এলাকাবাসির সহযোগিতায় ব্যাপক চেস্টা চালিয়ে শাহেদ ও কয়েক জন ব্যাক্তি সাপটিকে কাঠ দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে আর কমিউনিটি পুলিশ অঞ্চল-৫ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লোহার পাত দিয়ে পিটিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলে।
পরে রাতে ও বুধবার দিনে কৈাতহলি জনতা, শত-শত এলাকাবাসী সাপটি দেখতে এসে ভিড় জমায়। সচেতন এলাকাবাসীও অভিজ্ঞ মহল জানান,মমিন পাড়া ও এর আশ পাশের এলাকায়-কবরস্থাটিতে বিষধর সাপের বসবাস রয়েছে,তাই এলাকাবাসী অতি সাবধানে চলাচল করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।