স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর নৌ পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে প্রায় ১২ মণ ২৫ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে। নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে আটককৃত বড় সাইজের জাটকা হোটেল এবং অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নৌ পুলিশ এসব জাটকা বা টেম্পু ইলিশ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করলেও এ ব্যাপারে রিপোট করতে বলেন। সোমবার দিবাগত রাতে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই শহিদুল ইসলাম সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন যাত্রীবাহী লঞ্চে অভিযান চালিয়ে এসব জাটকা আটক করেন। চাঁদপুর নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায় এম ভি ফয়সাল-১ ও ফয়সাল -২ থেকে ৩ ড্রাম, এম ভি কোকো ১ ও কোকো ৫ থেকে ৩ ড্রাম, এম ভি ছাব্বির ১ থেকে ১ ড্রাম এম ভি শ্রীনগর -২ থেকে ১ ড্রাম জাটকা জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে ১২ মণ ২৫ কেজি জাটকা ইলিশ আটক করে নৌ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধম্যে আটককৃত বড় সাইজের জাটকা মাছের কোল্ড স্টোরেজে নিয়ে রাখা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্মে হাবিবা মিরা। তিনি জানান আটককৃত জাটকাগুলো বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ গরিব অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এদিকে নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে আটককৃত জাটকার কিছু বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। লঞ্চঘাট এলাকার কয়েকটি সূত্র থেকে জানাযায় নৌ পুলিশের এস আই শহিদুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জন্য কিছু মাছ সরিয়ে ফেলেন এবং বি. আই. ডব্লিউ. টি এ কেন্টিন মালেক বেপারীর খাবার হোটেলে বড় সাইজের একাধিক ইলিশ বিক্রি করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কেন্টিনে মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় রান্নাঘরের ভেতর কয়েকজন নারী পুরুষ মিলে ইলিশ মাছ কাটছেন। খবর নিয়ে জানাযায়, তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে মাছ কাটছেন এবং বেশ কিছু কাটা মাছে লবণ ও হলুদ মেখে রেখেছেন।
এ ব্যাপারে হোটেল কৃর্তপক্ষের সাথে আলাপকালে তারা বলেন আমরা এগুলো চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট থেকে অপরিচিত এক জেলের কাছ থেকে কম দামে কিনেছি। এমন অভিযোগের ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্মে হাবিবা বলেন আমরা সেটা তদন্ত করে দেখবো। যদি তা সত্যি হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে নৌ পুলিশের এস আই শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,যা,শুনেছেন তা সত্যি। এটি এখন একটি রিপোট। পত্রিকায় রিপোট করে দিন। যারা মাছ কিনেছে তাদের জিজ্ঞেস করেন।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২০ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।