খুদে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মতো জঘন্যতম ঘটনাও ঘটলো এবার। আর এমন ঘটনাটি ঘটলো চাঁদপুর জেলায়। পরীক্ষার আগের দিন শিক্ষার্থীরা যে প্রশ্ন হাতে পেয়েছে তার সাথে হুবহু মিলে গেছে গতকাল অনুষ্ঠিত ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথে। আর এই জঘন্য বিবেকহীন কর্মকা-ের মূল হোতা হচ্ছেন বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা। তারা সংশ্লিষ্ট অফিসের অসাধু লোকদের যোগসাজশে এ অপকর্মটি করেছে। এ চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ম্যাসেঞ্জার এবং ইমোর মাধ্যমে প্রশ্নপত্রটি ফাঁস করে কাঙ্ক্ষিত অভিভাবকদের কাছে বিক্রি করেছে। আর বিনিময়ে ওই চক্রটি মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
গতকাল রোববার থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী তথা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (PSC) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের এটিই প্রথম বোর্ড পরীক্ষা। গতকাল অনুষ্ঠিত হয় ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা। এদিকে পরীক্ষার আগের দিন শনিবার চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের হাতে গতকাল অনুষ্ঠিত ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্র একটি চক্রের মাধ্যমে গিয়ে পেঁৗছে। জানা গেছে, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে এবং স্কুলে ব্যাচে যে সব শিক্ষকের কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাইভেট পড়ে সে সব শিক্ষক ওই প্রশ্নপত্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাঙ্ক্ষিত অভিভাবকদের কাছে পেঁৗছায় ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং ইমোর মাধ্যমে। গতকাল ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দেখা গেছে যে, আগের দিন পাওয়া প্রশ্নের সাথে হুবহু মিলে গেছে। কয়েকটি স্কুলের পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার পর পরীক্ষা কেমন হয়েছে জিজ্ঞেস করলে এ অবুঝ শিশুরা অবলীলায় সত্য কথাটি বলে দেয়। তারা তখন বলে, ‘পরীক্ষা ভালো হয়েছে। গতকাল (শনিবার) স্যারেরা আমাদেরকে যা দাগিয়ে দিয়েছেন সব কমন পড়েছে।’ এমনিভাবে দেখা গেলো যে, আজকের বাংলা বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও গতকাল ফাঁস হয়ে গেছে। সেই একই চক্র বাংলার প্রশ্নপত্রও গতকাল ফাঁস করেছে। আজকে পরীক্ষা শেষে বুঝা যাবে ফাঁস হওয়া এ প্রশ্নপত্রের সাথে মিল রয়েছে কি না। এমনিভাবে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও খোঁজ নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।