নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামটি মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থানে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ মাদক বেচা কেনা ও সেবনের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে সুইমিং পুল লাগোয়া এলাকাটিতে তাদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। দিনের অধিকাংশ সময়ই ওই স্থানে উঠতি বয়সের যুবকদের পদচারনা বেশি চোখে পড়ে। এরা বেশির ভাগই শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে এখানো জড়ো হয়। সুইমিং পুলটির সাথেই মাদ্রাসা রোডের বেশ কিছু যুবক এ মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জাড়িত। এরা সকলেই ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নয়। ওই এলাকায় তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে। দিনের বেলায় এরা বিভিন্ন গ্যারেজ ও অটো সিএনজি চালায়। বিকেল হলেই এই স্থানে এসে জড়ো হয়। এলাকাবাসী জানায়, শহরের বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথেও এরা জড়িত।
খবর নিয়ে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে যুবক যুবতীরা এই আউটার স্টেডিয়ামে ঘুরতে আসলে তাদেরকে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখিয়ে এবং মারধর করে তাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা ও মোবাইল সেট সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ওই স্থানে ঘটেছে। এলাকাবাসী এদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকসেবীরা মোটর সাইকেল যোগে এদের সাথে এসে মিলিত হয়। এদের অত্যাচারে ওই এলাকার বসবাসকারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
যেখানে উঠতি বয়সের ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়াড়রা খেলার জন্যে মাঠে যান। সেখানে শহরের বখাটে ছেলেরা তাদের বন্ধুদের নিয়ে আড্ডার নামে মাদক কেনা-বেচার দায়িত্বে থাকেন।
সকাল ও বিকেল বেলা শহরের বয়োবৃদ্ধরা সেখানে শরীর-সুস্থ রাখার জন্য হাঁটতে যান। কিন্তু তাদের সিগারেটের ধোঁয়ায় ও তাদের উগ্র আচরণের কারণে অনেকেই এখন যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
আউটার স্টেডিয়াম লাগোয়া বিভিন্ন বাসা বাড়ির লোকজন ইতিমধ্যে মাদক সেবীদের উৎপাত নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে তারা এ প্রতিবেদককে জানান। জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ বিষয়টি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কিন্তু এর আগেও এ বিষয় নিয়ে পত্রিকায় কয়েকদিন লেখা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকদিন অভিযান চালানো হয়। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের উগ্র আচরণে আউটার স্টেডিয়ামে অনুশীলনরত খেলোয়াড় ও হাঁটতে যাওয়া বয়োবৃদ্ধরা আতঙ্কে রয়েছেন।
নিয়মিত হাঁটতে যাওয়া নাম প্রশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন বৃদ্ধ জানান, চাঁদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে স্টেডিয়ামের চারপাশে হাঁটার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা সেখানে সকাল ও বিকেলে নিয়মিত হাঁটতে যাই। কিন্তু গত ক’দিন ধরে শহরের পরিচিত কিছু যুবককে বিকেল হলেই সেখানে দেখতে পাই। তারা দলগতভাবে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। এক জন চলে গেলে আবার নতুন নতুন গ্রুপ সুইমিং পুল সংলগ্ন কোনায় চলে আসে।
এলাকাবাসী আকুল আবেদন বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশ সুপার যেন উপরোল্লিখিত বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ওই এলাকার জনগণ ও পথচারীরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ২১ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।