স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়ীতে আসছে ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা থেকে চাঁদপুরে নৌ-চলাচল আরামদায়ক হওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষই আসেন লঞ্চে করে। কিন্তু ৭শ’ থেকে ৮শ’ যাত্রী বহনকারী লঞ্চগুলো এখন ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসছে ২হাজার থেকে ৩ হাজার। এতে যাত্রীদের যেমন দূর্ভোগ বাড়ছে, তেমনি নিরাপত্তা ঝুঁকিও রয়েছে।যে কোন ঘটতে পারে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ।
বুধবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে আসে। এসব লঞ্চের মধ্যে ২ হাজারের কম যাত্রী ছিলো খুব কম লঞ্চেই।
এমভি ইমাম হাসান-৫ সকাল ৬টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর ঘাটে আসে। এই লঞ্চে যাত্রীছিলো প্রায় ৩ হাজার। এরপর সকাল ১০টা থেকে প্রতি আধাঘন্টা আবার কোন সময় ১ ঘন্টা পর এক বা একাধিক লঞ্চ ঢাকা থেকে চাঁদপুর ঘাটে আসতে শুরু করে। এমভি আল-ওয়ালিদ-২, এমভি গ্রীন লাইন-৭, বোগদাদিয়া-৭ সহ সব লঞ্চেই একই ধরনের যাত্রী দেখা গেছে।
সরেজমিন লঞ্চঘাটে আসা লঞ্চগুলোতে প্রবেশ করে দেখাগেছে এমনভাবে যাত্রী উঠানো হয়েছে, অনেক লঞ্চে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকাও ছিলো খুবই কষ্টকর। অনেক লঞ্চের ছাদে করেও যাত্রী এসেছে। ছোট শিশু ও মহিলাদের এ ক্ষেত্রে বেশী কষ্ট পোহাতে দেখাগেছে।
এমভি বোগদাদিয়া-৭ লঞ্চের যাত্রী মো. ইমরান হোসেন জানান, সদরঘাটে লঞ্চগুলো এসে ভিড়লেই মুহুর্তের মধ্যে যাত্রী ভরপুর হয়ে যাচ্ছে। সিডিউল টাইম হওয়ার আগেই ঘাট ছাড়ছে লঞ্চগুলো। তিনি চাঁদপুর হয়ে ল²ীপুর যাবেন। সাথে নিয়ে আসছেন বাইক। তাই যাত্রীদের নামতে দেরি হওয়ার কারণে প্রায় আধাঘন্টা লঞ্চের সামনেই বসে আছেন।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-রুটে প্রায় ২৪টি লঞ্চ যাতায়াত করে। এছাড়াও অন্য লাইনের লঞ্চগুলো এ বায়া হয়ে চাঁদপুর ঘাটে আসেন। সকাল থেকেই যত লঞ্চ সদরঘাট থেকে চাঁদপুরে আসছে. সবগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আসছে। চাঁদপুর থেকে যে সব লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে সেগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেই।
বিআইডাবিøউটিএ চাঁদপুর এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। তবে যাত্রীদের সহজেই পন্টুন থেকে উপরে উঠার জন্য কয়েকদিন পূর্বে আমরা একটি নতুন জেটি চালু করেছি। এতে করে পারাপার খুবই সহজ হচ্ছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ চলাচলের জন্য সকল সুব্যবস্থা রয়েছে চাঁদপুর ঘাটে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যে সব লঞ্চ চাঁদপুরে আসছে এই বিষয়ে আমাদের করার কিছুই নাই। কারণ এ বিষয়গুলো দেখবেন সদরঘাটে কর্মরত কর্মকর্তাগণ। তারপরেও আমরা বিষয়গুলো উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছি এবং সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করছি।